মহামারি করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন আবিষ্কারে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ। এরই মধ্যে সফলতার ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া।
মঙ্গলবার (১১ আগস্ট) দেশটির সরকার এই ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন জানিয়েছেন, উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনটি তার মেয়ের শরীরেও পুশ করা হয়েছে। তবে বহু কাঙ্খিত এই ভ্যাকসিনটি কারা আগে পাচ্ছেন সেই প্রশ্ন সামনে এসেছে।
জানা গেছে, রুশ প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে যৌথভাবে এই ভ্যাকসিন তৈরি করেছে গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউট। প্রেসিডেন্ট পুতিন ও সরকারের মন্ত্রীদের এক অধিবেশনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরশকো বলেছেন, চিকিৎসা কর্মীরা এবং শিক্ষকরা প্রথমে কভিড-১৯ ভ্যাকসিন পাবেন।
মন্ত্রী বলেন, আমরা ভ্যাকসিন পর্যায়ক্রমে দেশের নাগরিকদের সরবরাহ শুরু করব। তবে প্রথম এবং সর্বাগ্রে আমরা সংক্রমিত ব্যক্তিদের সংস্পর্শে কাজ করা চিকিৎসা কর্মীদের টিকা সরবরাহ করতে চাই। এছাড়াও শিশুদের পাঠদানে যুক্ত শিক্ষকদের আমরা শুরুতে টিকা সরবরাহ করবো।
এর আগে প্রেসিডেন্ট পুতিন বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় থেকে বিশ্বের প্রথম করোনা ভ্যাকসিনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। আমার মেয়ে প্রথম এটি শরীরে গ্রহণ করেছে। এখন গণহারে ভ্যাকসিনের উৎপাদন শুরু করা হবে।
পুতিন জানিয়েছেন, তার মেয়ে ভ্যাকসিনটি গ্রহণ করার পর সামান্য জ্বরাক্রান্ত হয়েছিলেন। তবে দ্রুতই তার তাপমাত্রা স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে এসেছে। এখন সে যথেষ্ট ভালো অনুভব করছে।
গত ১২ জুলাই রাশিয়ার পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, গামালেই ইনস্টিটিউট অব এপিডেমোলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজির উদ্ভাবিত ভ্যাকসিনের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল সফলভাবে শেষ করেছে তারা। ২২ জুলাই রুশ সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়, তাদের ভ্যাকসিনটি প্রস্তুত।
এ মাসের শুরুতে (০১ আগস্ট) রাষ্ট্রীয় রুশ বার্তা সংস্থা আরআইএ স্বাস্থ্যমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে জানায়, অক্টোবর মাস থেকে জনগণকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন দেওয়া শুরু হবে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার পক্ষ থেকে রাশিয়াকে করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিন উদ্ভাবনে আন্তর্জাতিক নির্দেশনা অনুসরণ করার আহ্বান জানানো হয়।