মাদকসেবী সন্দেহভাজন পুলিশ সদস্য ডোপটেস্ট করে পজিটিভ হলে তাকে চাকরি হারাতে হবে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, যেসব পুলিশ সদস্য মাদকের সাথে সম্পৃক্ত, তাদের বিরুদ্ধে গোয়েন্দা নজরদারি করা হচ্ছে। যে উদ্দেশ্য ও শক্তি নিয়ে আমরা মাদকের বিরুদ্ধে নেমেছিলাম, তা অব্যাহত রাখতে হবে।
আজ রবিবার সকালে রাজারবাগ বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে আয়োজিত ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মাসিক অপরাধসভায় তিনি এ কথা বলেন।
ডিএমপি কমিশনার বলেন, বিট পুলিশিং ও গ্রেপ্তারকৃত মাদক ব্যবসায়ী থেকে প্রাপ্ত তথ্য কাজে লাগিয়ে মাদকসেবীদের তালিকা করতে হবে। আমরা মাদকসেবীদের তালিকা তৈরি করে তাদের অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করে পুনর্বাসনে সহাযোগিতা করব।
পথশিশুদের মাদক সেবনের বিষয়ে কমিশনার বলেন, যেসব পথশিশু মাদক ও ড্যান্ডি খাচ্ছে, তাদের দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে। এদের ভবিষ্যতে বড় হয়ে ছিনতাইসহ অপরাধমূলক কাজ করার সম্ভাবনা আছে। শিশুদের কাছে জুতার সলিউশন আঠা যেসব দোকানদার বিক্রি করছে, তাদের শিশুদের কাছে সলিউশন আঠা বিক্রি না করার জন্য কঠোরভাবে সতর্ক করার নির্দেশ দেন তিনি।
ডিএমপির মনিটরিং সেলের মাধ্যমে থানায় সেবা প্রত্যাশীদের সাথে যোগোযোগ করে দেখা যাচ্ছে, থানায় মামলা ও জিডি গ্রহণের ক্ষেত্রে পুলিশের আচরণে জনসাধারণ সন্তুষ্ট হচ্ছে। এটা আমাদের ধরে রাখতে হবে এবং সেবার মান আরো বাড়াতে হবে। এ ছাড়া ঢাকা মহানগরীতে সংঘটিত হত্যা, ডাকাতি ও ছিনতাই মামলার ডিটেকশনের পরিমাণ অনেক ভালো বলে জানান ডিএমপি কমিশনার।
এ সময় জুলাই ২০২০ মাসের মাসিক অপরাধ পর্যালোচনাসভায় ভালো কাজের স্বীকৃতি হিসেবে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন কমিশনার। ডিএমপির ক্রাইম বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে মিরপুর বিভাগ, ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগের মধ্যে প্রথম হয়েছে গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগ এবং ট্রাফিক বিভাগের মধ্যে যৌথভাবে প্রথম হয়েছে গুলশান ও উত্তরা বিভাগ। সন্তোষজনক কাজের জন্য ৩৭ জনকে ডিএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনাসভায় পুরস্কৃত করেন ডিএমপি কমিশনার।