উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে দ্বিতীয় বারের মতো বাড়তে শুরু করেছে নেত্রকোণার সকল নদীর পানি। বুধবার সকাল থেকে বাড়তে শুরু করে সোমেশ্বরীর পানি। নদীর দুই তীর ফুলে-ফেঁপে উঠেছে। স্থানীয়রা বলছেন ভারতের মেঘালয়ে টানা বৃষ্টির কারণে বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে নদীর পানি। উজানে আবহাওয়া খারাপ থাকায় পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। ফলে নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার সম্ভবনা আছে।
স্থানীয় পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, টানা কয়েক দিনের বৃষ্টিতে দ্বিতীয় দফায় বাড়তে শুরু করেছে সোমেশ্বরীর পানি। বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে দুর্গাপুরের বিরিশিরি পয়েন্টের পানির গেজ রিডার নাঈম আহমেদ জানান, সোমেশ্বরী নদীর পানি বিপদসীমার ১৩০ সেন্টিমিটার এবং কংস নদের পানি জারিয়া পয়েন্টে বিপদসীমার ৭৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নদীতে পানি বাড়ায় দুর্গাপুর-শিবগঞ্জ, বিরিশিরি-শিবগঞ্জ, ফারাংপাড়া-কামারখালী, চৈতাটি-গাঁওকান্দিয়া ঘাটে নদীতে স্রোত থাকায় নৌকা নিয়ে পারাপারে মানুষের বেগ পেতে হচ্ছে। অনেকেই জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ইঞ্জিলচালিত নৌকা দিয়ে পার হচ্ছেন।
তাছাড়া পৌরসভার শিবগঞ্জ-ডাকুমারা, কুল্লাউড়া ইউনিয়নের কামারখালী এলাকায় নদীতে বেড়িবাঁধ না থাকায় কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে নদী ভাঙনের আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয়রা।
নদীর তীরবর্তী বাসিন্দারা জানান, নদীতে যেভাবে পানি বাড়ছে এর ফলে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। এখনও বাড়ি-ঘরে পানি না উঠলেও বেশি সময় লাগবে না।
এদিকে দুর্গাপুর-শ্যামগঞ্জ মহাসড়কের ঝুঁকিপূণ অংশ ইন্দ্রপুরের সরু কালভার্টের নিচ দিয়ে বেড়েছে পানি প্রবাহের গতি। ফলে নতুন করে আবারও ভাঙনের আশঙ্কায় রয়েছে সড়কটি। তবে ভাঙন রোধে বালুর বস্তা দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।
দুর্গাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফারজানা খানম বলেন, ঢলের পানি মোকাবেলায় উপজেলার সকল দফতরকে সম্পূর্ণ প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে। আর ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে সেই অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করছি।