সঙ্কট মেটাতে বেসরকারিখাতের পাটকল মালিকরা কাঁচা পাট রপ্তানি নিরুৎসাহিত করার উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। এজন্য তারা সরকারকে টন প্রতি কাঁচা পাট রপ্তানির ওপর ২৫০ মার্কিন ডলার রপ্তানি শুল্ক আরোপের সুপারিশ করেছে।
আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে হোটেল লেকশোরে সংবাদ সম্মেলনে বেসরকারি পাটকল মালিকরা এসব দাবি জানান।
লিখিত বক্তব্যে বাংলাদেশ জুট মিলস অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএমএ) সভাপতি মোহাম্মদ মাহবুবুর রাহমান পাটোয়ারী বলেন, বর্তমান পাট মৌসুমে কাঁচা পাটের ফলন খরা ও অতি বণ্যার কারণে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। পাটের এই ভরা মৌসুমে এরই মধ্যে পাটের বাজারে বিরূপ প্রভাব পড়া শুরু করেছে। দেশে প্রতিবছর যেখানে ৭৫ লাখ বেল পাট উৎপাদন হয়, সেখানে এবছর করোনা, আম্পান ও বন্যার কারণে ৫৫ লাখ বেল পাট উৎপাদন হবে বলে ধারনা করা হচ্ছে। প্রায় ৩০ শতাংশ পাট উৎপাদন গতবারের তুলনায় কম হবে।
তিনি আরো বলেন, দেশে পাট শিল্পের জন্য পাটের প্রয়োজন হবে ৬০ লাখ বেল, গৃহস্থালি ব্যবহারের জন্য প্রয়োজন ৫ লাখ বেল। সবমিলিয়ে মোট কাঁচা পাটের প্রয়োজন হবে ৬৫ লাখ বেল। কিন্তু চলতি অর্থবছরের প্রথম দুই মাসে কাঁচাপাট রফতানি বেড়েছে ৫০ শতাংশ।
তিনি বলেন, এভাবে কাঁচা পাট রপ্তানি হলে আরো সঙ্কটে বাড়বে। পাটের অভাবে মিলগুলো বন্ধ হয়ে যাবে। তাই সরকার যদি এখনই কাঁচা পাট রপ্তানি নিরূৎসাহিত না করে, তাহলে দেশে পাট শিল্প মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়বে।
মাহবুবুর রাহমান বলেন, জুলাই ও আগস্টে দেখা গেছে দেশের সবচেয়ে ভালো মানের পাট যেটি বাংলা তোসা, সেটি রপ্তানি হয়েছে। মূলত রপ্তানিজাত পাট পন্য তৈরিতে এই পাট ব্যবহার হয়।
তিনি বলেন, কাঁচা পাট সরবরাহ ঘাটতির কারণে পাটকল বন্ধ হয়ে গেলে অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্রেতাগণ পাটপণ্য ব্যবহার থেকে সরে দাঁড়াবে, যা পাট শিল্পকে দীর্ঘস্থায়ী ক্ষতিতে ফেলবে।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ জুট স্পিনার্স অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মো. জাহিদ মিয়া, বাংলাদেশ বহুমূখী পাটপণ্য উৎপাদন ও রপ্তানিকারক সমিতির সভাপতি মো. রাশিদুল করিম মুন্না উপস্থিত ছিলেন।