সাধারণত একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের সাত থেকে আট ঘণ্টা ঘুমানো জরুরি। এক রাত বা দুই রাত ঠিকঠাকমতো না ঘুম হওয়া তাও চলে, তবে এ সমস্যা চলতে থাকলে, অর্থাৎ প্রায়ই ঘুম ঠিকমতো না হলে শরীরে এর মারাত্মক প্রভাব পড়ে।
ঘুম ঠিকঠাকমতো না হওয়ার পাঁচ ক্ষতির কথা জানিয়েছে স্বাস্থ্যবিষয়ক ওয়েবসাইট টপ টেন হোম রেমেডি।
১. মস্তিষ্কের ওপর প্রভাব
ঘুমহীন একটি রাত কাটালে এটি মস্তিষ্কে বড় ধরনের প্রভাব ফেলে। এতে মনোযোগ ও ফোকাসের অসুবিধা হয়। এটি কগনেটিভ হেলথ বা জ্ঞানীয় স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। ঘুমের অসুবিধা স্মৃতিশক্তি নষ্ট করে এবং শেখার ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়।
২. হৃৎপিণ্ডকে ক্ষতিগ্রস্ত করে
হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে ভালো রাখতে পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম জরুরি। পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে এটি হৃৎপিণ্ডের স্বাস্থ্যকে ভীষণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত করে। গবেষণায় বলা হয়, পর্যাপ্ত ঘুম না হওয়া রক্তচাপ বাড়িয়ে দিতে পারে এবং কার্ডিওভাসকুলার রোগ বাড়ায়।
৩. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়
ঠিকঠাকমতো ঘুম না হওয়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমিয়ে দেয়। এতে ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া সহজেই আক্রমণ করে। এ থেকে ঠাণ্ডা, ফ্লু ইত্যাদির সমস্যা হয়।
৪. বিষণ্ণতা
ঘুমের অসুবিধার সঙ্গে বিষণ্ণতার সংযোগ রয়েছে। এটি মস্তিষ্কের নিউরোট্রান্সমিটার কার্যক্রমের ওপর প্রভাব ফেলে। এতে বিষণ্ণতার সমস্যা হয়।
৫. ত্বকের ক্ষতি
কেবল এক রাত ঠিকঠাকমতো ঘুম না হওয়ার কারণে চোখ ফোলা ও চোখের নিচে কালো দাগ পড়া এবং ত্বক ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়ার সমস্যা হয়। তাহলে চিন্তা করুন, দিনের পর দিন না ঘুমালে ত্বকের ওপর কতটা বাজে প্রভাব পড়ে!