বাংলাদেশে প্রতিবছর হৃদরোগে যত মানুষ মারা যায় তার ৪.৪১ শতাংশের জন্য দায়ী ট্রান্সফ্যাট। ট্রান্সফ্যাটজনিত হৃদরোগে মৃত্যুর সর্বাধিক ঝুঁকিপূর্ণ ১৫টি দেশের তালিকায় রয়েছে বাংলাদেশও। গত বুধবার রাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডাব্লিউএইচও) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।
তালিকার চারটি দেশ যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, লাটভিয়া ও স্লোভেনিয়া এরই মধ্যে ট্রান্সফ্যাট নির্মূলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নীতিমালা অনুসরণ করছে। বাকি ১১টি দেশকে দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে ডাব্লিউএইচও। বাংলাদেশসহ তালিকার বাকি ১১টি দেশ হলো—ইরান, ভারত, মেক্সিকো, নেপাল, পাকিস্তান, কোরিয়া, মিসর, আজারবাইজান, ভুটান ও ইকুয়েডর।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, এ পর্যন্ত মোট ৫৮টি দেশ ট্রান্সফ্যাট নির্মূলের নীতি গ্রহণ করেছে, যার মাধ্যমে ২০২১ সালের মধ্যে ৩২০ কোটি মানুষ সুরক্ষা পাবে। তবে নীতিমালার অভাবে এখনো শতাধিক দেশ ট্রান্সফ্যাট ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
এই বৈশ্বিক প্রতিবেদন প্রকাশ উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে ডাব্লিউএইচওর মহাপরিচালক ড. তেদ্রোস আধানোম গেব্রিয়েসুস বলেন, ‘করোনা মহামারির মধ্যে অবশ্যই অসংক্রামক রোগ মোকাবেলার জন্য সব পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। কারণ করোনাভাইরাসে এগুলো আরো ত্বরান্বিত হয়ে অকালমৃত্যুর কারণ হতে পারে।’
এদিকে ঢাকার শীর্ষস্থানীয় পিএইচও (পারশিয়ালি হাইড্রোজেনেটেড অয়েল) ব্র্যান্ডসমূহের নমুনার ৯২ শতাংশে ডাব্লিউএইচও সুপারিশকৃত ২ শতাংশের চেয়ে বেশি ট্রান্সফ্যাট (ট্রান্সফ্যাটি এসিড) পেয়েছেন ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হসপিটাল অ্যান্ড রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকরা। ওই গবেষণায় ঢাকার পিএইচও নমুনা বিশ্লেষণ করে প্রতি ১০০ গ্রাম পিএইচও নমুনায় সর্বোচ্চ ২০.৯ গ্রাম পর্যন্ত ট্রান্সফ্যাট মিলেছে। তাই দ্রুততম সময়ের মধ্যে সব ধরনের ফ্যাট, তেল ও খাদ্যদ্রব্যে ট্রান্সফ্যাটের সর্বোচ্চ সীমা নির্ধারণ এবং তা কার্যকর করার দাবি জানিয়েছে গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান)।