মহান বিজয় দিবসের আগেই রাজাকারের তালিকা প্রকাশ পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। তবে সেটি খণ্ডিত অংশ হবে। পর্যায়ক্রমে পূর্ণাঙ্গ তালিকা প্রকাশ করা হবে। সংসদীয় কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি শাহাজান খান। 

আজ রবিবার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি শাহাজান খান। বৈঠকে কমিটির সদস্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক, কাজী ফিরোজ রশীদ ও মোছলেম উদ্দিন আহমদ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। 

বৈঠক শেষে শাজাহান খান সাংবাদিকদের বলেন, রাজাকারদের তালিকা প্রণয়নে এ সংক্রান্ত উপ-কমিটি ইতিমধ্যে কাজ শুরু করেছে। তারা সংসদ সদস্যদের মধ্যে যারা মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযোদ্ধার সন্তান আছেন, তাদের নিয়ে কাজ করবেন। আর তথ্য নেওয়া হবে যুদ্ধকালীন কমান্ডার এবং উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ড থেকে। ইতোমধ্যে বেশকিছু তথ্য সংগ্রহ হয়েছে বলে তিনি জানান।

এর আগে গত ৯ অগাস্ট রাজাকারের তালিকা তৈরি করতে ছয় সদস্যের উপ-কমিটি গঠন করে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় কমিটি। এর আগে রাজাকারদের আংশিক তালিকা প্রকাশ করা হলেও ক্ষোভ-প্রতিবাদের মুখে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সেই তালিকা স্থগিত করা হয়।

কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে আরেকটু স্বচ্ছলভাবে জীবন যাপন করার লক্ষ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মাসিক সম্মানী আট হাজার টাকা বৃদ্ধি করে বিশ হাজার টাকা করার সুপারিশ করা হয়। আর সকল প্রতিষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের নামের পূর্বে ‘বীর’ শব্দটি ব্যবহার সংক্রান্ত সচিব কর্তৃক স্বাক্ষরিত চিঠি বাংলাদেশ ব্যাংকসহ মুক্তিযোদ্ধাদের যোগাযোগ রয়েছে এমন সব প্রতিষ্ঠানে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ ছাড়া মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্টের কিছু কার্যক্রমের বিপক্ষে সংসদীয় কমিটির নিকট বেশ কিছু লিখিত অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযোগগুলোর সত্যতা যাচাইয়ে কমিটির সভাপতি শাজাহান খানকে আহবায়ক এবং কাজী ফিরোজ রশীদ ও মোছলেম উদ্দিন আহমদকে সদস্য করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবার ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠন এবং একজন মুক্তিযোদ্ধার পৃথক আবেদনের প্রেক্ষিতে এই উপ-কমিটি করা হয়েছে।