ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি:
সেই শিকলে বন্দি কিশোর মুন্নাকে নিয়ে দৈনিক দেশ রুপান্তরে সংবাদ প্রকাশের পর চিকিৎসার দায়িত্ব নিলেন পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ ডাব্লিউ এম রায়হান শাহ। মুন্নার পরিবারের হাতে প্রাথমিক ভাবে ১০ হাজার টাকা দিয়ে পাবনা মনসিক হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার দুপুরে কৈশর মুন্নাকে ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন পীরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী এ ডাব্লিউ এম রায়হান শাহ। তিনি বলেন, মানসিক ভারসাম্যহীন শেকলে বন্দি কৈশর মুন্নাকে স্থানীয় সংবাদকর্মীদের রিপোর্টের তার সম্পর্কে অবগত হই। এর পর তার বাড়ি পরিদর্শন করে মুন্নার পিতা মনসুর আলীর হাতে চিকিৎসার জন্য ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়। যেহেতু মুন্না মানসিক রোগী।
এর আগেও পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসা করা হয়েছিল। কিন্তু মুন্না পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। তাই মুন্নার চিকিৎসার সার্বিক দায়িত্ব ইউএনও গ্রহন করেছেন জানিয়ে বলেন, মুন্নাকে ইতোমধ্যে পাবনা মানসিক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। পাবনা সদরের ইউএনও মুন্নার চিকিৎসার সার্বিক সহযোগিতা করনে বলে জানান তিনি। এর অর্থ যোগান দেবে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা থেকে।
মুন্না এগারো বছর ধরে শিকল বাধাঁ জীবন কাটাচ্ছিল। এখন তার বয়স এখন ১৮ । বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার জাবর হাট গ্রামে। অর্থের অভাবে ছেলের উন্নত চিকিৎসা করাতে পারেনি তার পরিবার। মুন্নার বয়স যখন ৭ বছর তখন সে মানসিক ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে । তার চিকিৎসার জন্য গরু-ছাগল বিক্রি চিকিৎসা করে। কিন্তু আর সুস্থ্য হয়ে ওঠেনি। মুন্নার বাবা মুনসুর আলী জানায়, অসচ্ছলতার কারণে ছেলের সঠিক চিকিৎসা করাতে পারেনি। ইউএনওর হস্তক্ষেপে তার ছেলের চিকিৎসায় ভাল হয়ে উঠবে বলে আশা প্রকাশ করেন।