ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউট, ইউনিভার্সিটি, মেডিক্যাল ট্রেনিং ইন্সটিটিউটসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নামে প্রতারণার জাল বিছিয়েছিলেন স্বামী-স্ত্রী। ভর্তি হলেই পাশ আর চাকরির লোভ দেখিয়ে কোটি কোটি টাকা তারা আত্মসাৎ করেছেন। তাদের আজ সোমবার ঢাকা থেকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি’র অর্গানাইজড ক্রাইমের একটি টিম।
আসামিদ্বয়ের নাম আল ফারাবি মো. নুরুল ইসলাম (৫২) ও তার স্ত্রী মোসা. আকলিমা খাতুন(৪১)। ভুয়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুলে তারা ৭ কোটি ৩১ লক্ষ ৫৮ হাজার ৫০৮ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। আসামিদের বিরুদ্ধে বগুড়া সদর থানায় মানিলন্ডারিং মামলা করা হয়েছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামীদ্বয় চারুকলা ডিপ্লোমা কোর্স ও গ্রন্থাগার ও তথ্য বিজ্ঞান ডিপ্লোমা কোর্সের সার্টিফিকেট বিক্রি করে চাকরিপ্রার্থী বেকার যুবকদের নিকট থেকে ভুয়া প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে বড় অংকের নগদ টাকা অবৈধভাবে গ্রহণ করেছেন। এ ঘটনায় ২০১৬ সালের ৩০ নভেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজশাহী আঞ্চলিক কেন্দ্রের পরিচালক ড. মো. জাহাঙ্গীর আলম মামলা করেছিলেন।
নিজেদের মালিকানায় বগুড়া সদর থানাধীন সাধারণ বীমা ভবন, কলেজ রোড, বগুড়া এর ভাড়াকৃত পঞ্চম ও ষষ্ঠ তলায়; ১. নুরুল ইসলাম ইউনিভার্সিটি অব ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড টেকনোলজি, ২. নিয়াক মেডিক্যাল এসিস্ট্যান্ট ট্রেনিং ইন্সটিটিউট, ৩. কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিংকলেজ (পলিটেকনিক), ৪. বগুড়া টিএইচবিপিইডি কলেজ, ৫. এসবি সায়েন্স এন্ড টেকনোলজি কলেজ, ৬. পাবলিক হেল্থ ডেভেলপমেন্ট ওয়ার্ক, ৭. শহীদ মোনায়েম হোসেন বিএড কলেজ, ৮. টিএউচবিপিএড কলেজ, ৯. নুরুল ইসলাম আকলিমা প্যারামেডিক্যাল ইন্সটিটিউট; বাঘোপাড়া, বকুল, বগুড়া সদর, ১০. কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড বি এম কলেজ, এবং রংপুরে, ১১. রংপুর একাডেমিক এন্ড প্রফেশনাল ইন্সটিটিউট, ১২. অ্যাকাডিমিক অ্যান্ড প্রফেশনাল ইন্সিটিটিউট প্রতিষ্ঠানগুলোর পরিচালনার আড়ালে চারুকলা ডিপ্লোমা ইন্সটিটিউটসহ একাধিক অনুমোদনবিহীন নাম-সর্বস্ব ভুয়া প্রতিষ্ঠান খুলে চাকরি-প্রত্যাশী বেকার যুবকের নিকট চারুকলা ডিপ্লোমা সার্টিফিকেট বিক্রি করে বিপুল অবৈধসম্পদ অর্জন করেছে। এছাড়াও আসামিরা প্রত্যেক উচ্চ বিদ্যালয়ে চাকরির সুযোগের কথা উল্লেখ করে বেকার শিক্ষার্থীদের ভর্তি করাতো এবং ভর্তি হলেই পাশ করার নিশ্চয়তা দিতো।