করোনা পরিস্থিতির কারণে মহাঅষ্টমীর ঐতিহ্য কুমারীপূজার আয়োজন থাকছে না এবার। তবে আজ শনিবার (২৪ অক্টোবর) থাকছে মহাঅষ্টমী পূজার আনুষ্ঠানিকতা। ভক্তরা বাসায় বসেই অঞ্জলি দেবেন।
পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী জানিয়েছেন, করোনা পরিস্থিতির কারণে গতকাল সব মন্দিরে বিশেষ প্রার্থনার আয়োজন ছিল। একই কারণে মহাঅষ্টমীর মূল আকর্ষণ কুমারীপূজা থাকছে না এবার। আজ শনিবার সকাল ৫টা ১৬ মিনিটের মধ্যে দুর্গাদেবীর মহাঅষ্টমীবিহিত পূজা ও মহাঅষ্টমীর ব্রতোবাস শুরু হবে। সকাল ৬টা ৩৫ মিনিট থেকে ৭টা ২৩ মিনিটের মধ্যে অনুষ্ঠিত হবে সন্ধিপূজা। সপ্তমী পূজার মতো অষ্টমী ও নবমী পূজার দিন সকাল ১০টা ৪৫ মিনিটে মায়ের পুষ্পাঞ্জলি সরাসরি সম্প্র্রচার করবে কয়েকটি টেলিভিশন চ্যানেল।
একই সময়ে মহানগর সর্বজনীন পূজা কমিটি এবং শ্রীশ্রী ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দির নামের ফেসবুক পেজ থেকে মায়ের পুষ্পাঞ্জলি সরাসরি সম্প্র্রচার করা হবে। বাড়িতে বসেই এবার ভক্তরা মায়ের চরণে অঞ্জলি দেবেন বলে জানান তিনি।
গতকাল শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) সকালে নবপত্রিকা প্রবেশ ও সপ্তমীবিহিত পূজা অনুষ্ঠিত হয়। পূজা চলাকালে ঢাকের বোল, কাঁসর ঘণ্টা ও শাঁখের ধ্বনিতে মুখর হয়ে উঠলেও করোনাভাইরাস মহামারির কারণে এবারের আয়োজন ও পূজায় অংশগ্রহণ সীমিত ছিল। তার ওপর দিনভর প্রবল বর্ষণের কারণে রাজধানীর মণ্ডপগুলো ছিল অনেকটা ফাঁকা। পূজা শেষে স্বল্পসংখ্যক ভক্ত মণ্ডপে অঞ্জলি দিয়েছেন। তবে বাসায় থেকে অঞ্জলি দেওয়ার জন্য বিভিন্ন টেলিভিশন ও ফেসবুকে সরাসরি অঞ্জলি দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পূজামণ্ডপগুলো সন্ধ্যা আরতির পর বন্ধ হয়ে যায়।
এদিকে পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী গতকাল দুপুরে বিভিন্ন পূজামণ্ডপে করোনামুক্তি, দেশ-জাতি ও বিশ্বশান্তি কামনায় বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে সকাল ১২টা ১ মিনিটে অনুষ্ঠিত প্রার্থনাসভায় বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নির্মল কুমার চ্যাটার্জী, ঢাকা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি শৈলেন্দ্রনাথ মজুমদার, সাধারণ সম্পাদক কিশোর রঞ্জন মণ্ডল, পূজা উদযাপন পরিষদের উপদেষ্টা স্বপন কুমার সাহা, কাজল দেবনাথ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।