সাগরে নিম্নচাপ কেটে গেছে। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তত্সংলগ্ন এলাকায় সৃষ্ট গভীর নিম্নচাপটি গত শুক্রবার পশ্চিম খুলনা উপকূল অতিক্রম করে।
গতকাল শনিবার সকাল ৬টায় এটি গাজীপুর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ হিসেবে অবস্থান করছিল। পরে এটি আরো দুর্বল হয়ে পড়ে। এর ফলে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে জারি করা সতর্কতা সংকেত আবহাওয়া অধিদপ্তর তুলে নিয়েছে।
তবে আজ রবিবারও (২৫ অক্টোবর) দেশের কোনো কোনো জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। এর পর ধীরে ধীরে বৃষ্টি বিদায় নেবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়াবিদ আবদুল হামিদ বলেন, ‘লঘু ও নিম্নচাপের কারণে দেশজুড়ে টানা বৃষ্টি ঝরছিল। বৃষ্টি আস্তে আস্তে কমছে। কালও (রবিবার) কিছু জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘এখনো দেশের কোথাও কোথাও সক্রিয় রয়েছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু। এর প্রভাবে কোথাও কোথাও বৃষ্টি হবে। ধীরে ধীরে তা বিদায় নেবে।’
আজ রবিবারের আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম, রংপুর ও সিলেট বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দুয়েক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে।
এদিকে সাগরের সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিতে দেশজুড়ে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে মন্দিরে মন্দিরে দুর্গোৎসবের অনুষ্ঠানে স্বাচ্ছন্দ্যে যেতে পারেননি হিন্দু সম্প্রদায়ের অনেক মানুষ। খেটে খাওয়া মানুষ পড়েন আরো বিপদে। টানা বৃষ্টিতে অনেক জেলায় তৈরি হয়েছে শীতের আমেজ। পুকুর ও ঘেরের মাছ এবং মাঠের ফসল ও সবজির ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে চাঁদপুরে ১৬৭ মিলিমিটার। এ সময় রাজধানী ঢাকায় ৩৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। এর ফলে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জমে যায় পানি। দেখা দেয় যানজট। তবে নিম্নচাপ কেটে যাওয়ায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির মাত্রা কমে এসেছে।