অবশেষে গ্রেফতার হলেন বরগুনার আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলার প্রধান সাক্ষী ও নিহতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। বরগুনার পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে এদিন সকাল সোয়া ১০টার দিকে বরগুনা পৌরসভার মাইঠা এলাকার নিজ বাসা থেকে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ লাইনে আনা হয়।
পুলিশ সুপার মো. মারুফ হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, রিফাত শরীফ হত্যা মামলার এক নম্বর সাক্ষী ও প্রত্যক্ষদর্শী নিহতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি। সকালে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও তার বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য বরগুনা পুলিশ লাইনে আনা হয় এবং রাতে তাকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানো হয়।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ও দীর্ঘ সময় ধরে প্রাপ্ত তথ্য পর্যালোচনা ও বিশ্লেষণ করে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতা প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হওয়ায় মামলার মূল রহস্য উদঘাটন এবং সুষ্ঠু তদন্তের জন্য মিন্নিকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
এর আগে শনিবার (১৩ জুলাই) রাত ৮টার দিকে নিহত রিফাত শরীফের বাবা সংবাদ সম্মেলন করে অভিযোগ করেন তার ছেলে হত্যার ঘটনায় পুত্রবধূ মিন্নিও জড়িত বলে সন্দেহ করছেন তিনি। সেদিন মিন্নি হত্যাকাণ্ডে জড়িত এমন সন্দেহের পেছনে ১০টি কারণও বলেন তিনি। তার সন্দেহের বিষয়টিকে আমলে নেয় পুলিশ।
আবদুল হালিম দুলাল শরীফ অভিযোগ করে বলেন, ‘রিফাত হত্যাকাণ্ডের নতুন ভিডিও ফুটেজ দেখে আমি ধারণা করছি, আমার ছেলেকে হত্যার পেছনে তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি জড়িত। মিন্নি যদি হামলাকারীদের প্রতিরোধের চেষ্টা না করে রিফাতকে জড়িয়ে ধরতো, তাহলে আমার ছেলে নির্মম হত্যার শিকার হতো না।’
তিনি বলেন, ‘আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি আগে নয়ন বন্ডকে বিয়ে করেছিল। ওই বিয়ে গোপন করে রিফাত শরীফকে বিয়ে করে সে। বিষয়টি আমাদের জানায়নি মিন্নি এবং তার পরিবার। কাজেই রিফাত শরীফ হত্যার পেছনে মিন্নির মদদ রয়েছে। তাকে গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনলে সব বিষয় পরিষ্কার হয়ে যাবে।’
তবে এর পরদিন মিন্নি পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করে বলেন, ‘বরগুনায় যারা ০০৭ গ্রুপ সৃষ্টি করেছেন, তারা খুবই ক্ষমতাবান ও অর্থশালী। তারা রিফাত হত্যার বিচারকে অন্যদিকে প্রবাহিত করার জন্য আমার শ্বশুরকে বিভিন্নভাবে চাপ সৃষ্টি করছে। খুনিদের আড়াল করতে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে।’