তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সাংবাদিক নামধারীদের চিহ্নিত করার দায়িত্ব সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে নিতে হবে। এদের জন্য সাংবাদিক সমাজের বদনাম হচ্ছে। আইনজীবীরা যেমন ভুয়া আইনজীবী খুঁজে বের করেন, সাংবাদিক সংগঠনগুলোকেও ভুয়া সাংবাদিক খুঁজে বের করতে হবে। এর জন্য সরকার সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে।
আজ বৃহস্পতিবার ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সদস্য লেখক সম্মাননা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ২০০৯ সালে ক্ষমতায় আসার পর ডিজিটাল বাংলাদেশের যখন ঘোষণা দেয়, তখন অনেকেই সেটি নিয়ে হাসাহাসি করেছিলেন। আজকে সাড়ে ১১ বছর পর ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে প্রচুর মানুষ বৈদেশিক মুদ্রা আয় করছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রী সব সময় সমালোচনাকে ইতিবাচক দৃষ্টিতে দেখেন। আমি এর সঙ্গে যুক্ত করতে চাই সমালোচনা করবেন, কিন্তু ভালো কাজের প্রশংসাও করতে হবে।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন আল-আরাফা ইসলামী ব্যাংকের ডিজিএম শফিকুর রহমান। ডিআরইউ সভাপতি রফিকুল ইসলাম আজাদের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য দেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াজ চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে ডিআরইউয়ের সদস্য ৩০ জন লেখককে সম্মাননা দেওয়া হয়। সম্মাননাপ্রাপ্তরা হলেন—দীপন নন্দী (বাংলানিউজ), হক ফারুক আহমেদ (যুগান্তর), ইন্দ্রজিৎ সরকার (সমকাল), সেলিনা শিউলী (বাসস), মোরসালিন আহমেদ (ডেইলি স্পোর্টস), জাকির হোসেন (জাগরণ), মিজান রহমান (মুক্তবাজার প্রতিদিন), এম মামুন হোসেন (সময়ের আলো), রিয়াজ চৌধুরী (এশিয়ান মেইল), সাজেদা পারভীন সাজু (জিটিভি), আমীন আল রশীদ (নেক্সাস টিভি), মোতাহার হোসেন (বর্তমান), প্রণব মজুমদার (দৈনিক শিরোনাম), আমিরুল মোমেনীন মানিক (চেঞ্জটিভি), রকিবুল ইসলাম মুকুল, আবু আলী (আমাদের সময়), মিজান মালিক (যুগান্তর), মুস্তাফিজুর রহমান নাহিদ (শেয়ারবিজ), শফিউল্লাহ সুমন (বিটিভি), তরিকুল ইসলাম মাসুম (চ্যানেল আই), আবু হেনা ইমরুল কায়েস (বাংলাভিশন), মাইদুর রহমান রুবেল (আরটিভি), মাসুম মোল্লা (ডেইলি স্টার), সায়ীদ আবদুল মালিক (দৈনিক বাংলা), চপল বাশার (ফ্রিল্যান্স), আশীষ কুমার দে (পিটিবি নিউজ), জামশেদ নাজিম (জিটিভি), শামসুজ্জামান শামস (ভোরের কাগজ), আহমেদ মুশফিকা নাজনীন (ইটিভি) এবং হাবিবুল্লাহ ফাহাদ (ঢাকা টাইমস)।