শীতকাল আসলেই ধুলা বালির পরিমাণ বেড়ে যায়, মানুষ সহজেই অ্যালার্জিতে আক্রান্ত হয়। তবে কিছু নিয়ম কানুন মেনে চললে অ্যালার্জির হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। যাদের ঠান্ডার সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে শীতে  অ্যালার্জির পরিমাণ আরো বেড়ে যায় এবং এক সময় শরীর অনেক অসুস্থ হয়ে যায়। নিচে উল্লেখিত ছয়টি বিষয় মেনে চললেই অনেকাংশে অ্যালার্জিকে জয় করা সম্ভব।

পর্দা পরিষ্কার রাখুন:

আপনি কি জানেন পর্দার ধুলাবালি অ্যালার্জির জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। সেক্ষেত্রে আপনার পর্দা প্রতিদিন ধোয়ার দরকার নাই কিন্তু অন্তত ১০ দিন পর পর ভ্যাকুয়াম ক্লিনার দিয়ে পরিষ্কার করুন। আসল কথা ধুলা যেনো জমতে না পারে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।

নিয়মিত কাপড় পরিষ্কার করুন:

নিজের জামাকাপড় বা বিছানার চাদর দীর্ঘদিন  পরিষ্কার না করলে ধুলা বালি জমে। এ থেকে অ্যালার্জির সমস্যা হয়। এজন্য জামা কাপড় ব্যবহার্য সব কিছু কিছুদিন পর পর পরিষ্কার করতে হবে।

ওয়াশরুম পরিষ্কার রাখা:

ভেজা পরিবেশে রোগ জীবাণুর জন্ম হয় বেশি। ওয়াশরুম সবসময় ভেজা থাকলে সে থেকে ছত্রাকের জন্ম নেয় এবং এ থেকে অ্যালার্জি হয় শরীরে। পরবর্তীতে দেখা যায় শ্বাসকষ্ট হয়। এক্ষেত্রে ওয়াশরুমে পর্যাপ্ত আলো বাতাসের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

রান্নাঘরে বাতাস চলাচলের ব্যবস্থা:

রান্নাঘরের ধোঁয়া আপনার পুরো বাসার বাতাসকে দূষিত করতে পারে এবং এ থেকে অ্যালার্জির জন্ম হয়।  এজন্য এডজাস্ট ফ্যান ব্যবহার করুন যা গরম বাতাসকে বের করে দেয়। প্রয়োজনে কিচেন চিমনিও ব্যবহার  করতে পারেন।

গাড়ির জানালা বন্ধ:

অনেকের ফুলের গন্ধে অ্যালার্জি থাকে। দেখা যাচ্ছে নাকে ফুলের গন্ধ ভেসে আসলো সেই সাথে শরীরে দেখা দিলো চাক চাক। এজন্য যখন ফুলের পরাগ হয় আপনি বাড়িতে থাকার চেষ্টা করুন আর কাজ থাকলে অবশ্যই গাড়ির জানালা দিয়ে চলাফেরা করুন।

দূষণ থেকে বাঁচতে বাড়িতে থাকুন:

বায়ু দূষণ বেশি হলে বাড়িতে থাকুন এবং অ্যালার্জি মুক্ত থাকুন। আপনার স্বাস্থ্যের জন্য বায়ু দূষণ কতটা ভয়ঙ্কর তা নতুন করে জানানোর দরকার নেই। প্রতিবার বায়ু দূষণ থেকে হাঁপানি রোগীর সংখ্যা বাড়ে। এজন্য ওই সময়টাতে বাড়িতে থাকা জরুরী।