করোনা মহামারীর সময়ে মাস্কের ব্যবহার অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। একটি ভালো মানের মাস্ক শতকরা ৭০ ভাগ পর্যন্ত সংক্রমণ রোধ করতে পারে এবং অন্যান্য জীবাণুর বিস্তারও রোধ করে। সার্জিকাল মাস্কগুলো অনেক উপকারী অন্য দিকে পুনরায় ব্যবহার করা যায় ওই মাস্কগুলোও অনেকে ব্যবহার করে। এক কথায় দুটো মাস্ক অর্থনৈতিক ও পরিবেশগতভাবে একে অন্যের পরিপূরক।
একটি মাস্ক আপনাকে কতদিন সুরক্ষা দেবে:
একই মাস্ক বারবার ব্যবহার করা কি স্বাস্থ্যসম্মত? এই নিয়ে অনেক প্রশ্ন আছে। নতুন গবেষণায় উঠে এসেছে যে, এক মাস্ক বারবার ব্যবহার করার চেয়ে মাস্ক ব্যবহার না করাই ভালো।
গবেষকদের মতে:
সার্জিকাল মাস্কগুলো বারবার ব্যবহার না করার কারণ হলো এর ফ্যাব্রিক ও শেপ। বারবার ব্যবহার করলে মাস্কের আকার নষ্ট হয়ে যায়। মাস্কে এক ধরণের শোষণকারী স্তর ব্যবহার করে তৈরি করা ফ্যাব্রিক সময়ের সাথে সাথে ছিদ্রযুক্ত এবং কম কার্যকর হতে পারে।
গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে, মাস্কের ধরণ এবং অবস্থা সংক্রমণের ঝুঁকিকে প্রভাবিত করে। যখন নতুন মাস্কগুলো শতভাগ সুরক্ষা দেয় সেখানে ব্যবহৃত মাস্কগুলো শতকরা ৬০ ভাগেরও কম ভাইরাস ফিল্টার করে।
মাস্কের ফেব্রিক কার্যকারিতা নির্ধারণ করতে পারে:
অধিক ব্যবহারের ফলে মাস্ক ছিড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এক্ষেত্রে সেই মাস্ক ব্যবহার করার চেয়ে মাস্ক ব্যবহার না করাই ভালো।
এটি এমন একটি বিষয় যা ফ্যানসি, ট্রেন্ডি কাপড়ের মাস্ক ব্যবহার করার সময় বিবেচনা করা উচিত। যদিও দেখতে ফ্যাশনেবল তবে কোনও অতিরিক্ত থ্রেডওয়ার্ক, সিকুইন্স বা নিম্নমানের ফ্যাব্রিক তার আরামের সাথে আপস করতে পারে বলে চিকিত্সকদের মতামত।
মনে রাখবেন, একটি ভাল মানের মাস্ক এমন একটি হওয়া উচিত যা মুখ ঢেকে খুব সহজে সুরক্ষা দেয় এবং জীবাণু প্রবেশের কোন ছিদ্র থাকে না।
পুনরায় ব্যবহারযোগ্য মাস্ক কতদিন ব্যবহার করব?
যে মাস্কগুলো একাধিকবার ব্যবহার করা যায় সেগুলো ব্যবহারের একটি সময়সীমা আছে। মাস্ক ভালোভাবে পরিষ্কার করে তারপর দ্বিতীয়বার ব্যবহার করতে হবে।
আপনার স্বাস্থ্যের সুরক্ষার জন্য আপনার সাথে বেশ কয়েকটি মাস্ক রাখা ভাল উপায়। আপনার মাস্ক যেনো অবশ্যই নাক কভার করে এবং মুখ ঢাকা থাকে এবং কোন ধরণের ফাঁকা না থাকে। মাস্কের ফ্যাব্রিকটি ধোয়ার পর যদি পাতলা মনে হয় তাহলে অবশ্যই ব্যবহার বাদ দিতে হবে। আবার মাস্কটি ব্যবহারে যদি স্বত্বিবোধ না হয় সেক্ষেত্রেও ব্যবহার বাদ দিতে হবে।
সূত্র: টাইমস অফ ইন্ডিয়া