ময়মনসিংহে ব্রহ্মপুত্র নদের বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে ১২টি গ্রাম। তলিয়ে গেছে শতশত একর সবজি ক্ষেত, আমন ধানের বীজতলা ও মাছের খামার।

হঠাৎ করে বিপর্যয়ে পড়ে দিশেহারা বন্যা কবলিত এলাকার মানুষেরা। দ্রুত বাঁধ মেরামত না হলে পাশের আরো দুটি উপজেলা প্লাবিত হতে পারে বলে আশংকা স্থানীয়দের।

তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, পানির স্রোত না কমা পর্যন্ত বাঁধ মেরামতের সুযোগ নেই।

বুধবার (২৪ জুলাই) ভোরে হঠাৎ করেই বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয়েছে সিটি কর্পোরেশন ও সদর উপজেলার দুটি ইউনিয়নের বেশ কয়েকটি গ্রাম। প্রবল বেগে পানি প্রবেশ করছে জনবসতিপূর্ণ এলাকায়। তলিয়ে গেছে সবজি ভান্ডারের চরাঞ্চলের শতশত একর সবজি ক্ষেত, আমন ধানের বীজতলা ও মাছের খামার। ফসল হারিয়ে দিশেহারা ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকেরা।

এদিকে দ্রুত বাঁধ মেরামত করা না হলে পাশের তারাকান্দা ও ফুলপুর উপজেলার বেশকিছু গ্রামও প্লাবিত হওয়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। আর ক্ষতিগ্রস্থ এলাকায় দ্রুত ত্রাণ সহায়তা চেয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি।

একজন বলেন, এই মুহূর্তে কিছু ত্রাণ ও পরবর্তীতে কিছু বীজ তুলতে হবে এগুলা যদি সরকারিভাবে সহায়তা করা যায়, তাহলে লাঘব হবে কষ্ট।

খবর পেয়ে ভেঙে যাওয়া বাঁধ পরিদর্শন করেছেন প্রশাসন ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, পানির স্রোত না কমা পর্যন্ত কাজ করার সুযোগ নেই।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাফিজুর রহমান বলেন, বাঁধ করে ফেললে আরেক পাশে পানি নিষ্কাশণের জায়গা থাকবে না, এটাও আমাদের মাথায় রাখতে হবে।

পাউবো তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এ কে এম শফিকুল ইসলাম বলেন, এখন পানির যে স্রোত তাতে একটু কঠিন। আমরা চেষ্টা করবো একটু কমলে ব্যবস্থা নেয়ার।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, ২০০১ সালে চর ভবানীপুর থেকে বোরোরচর ডিগ্রিপাড়া পর্যন্ত ব্রহ্মপুত্র নদের পাড়ে ২৩ কিলোমিটার বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধ নির্মাণ করা হয়। নির্মাণের পর থেকে এখন পর্যন্ত বাঁধটি একবারও সংস্কার করা হয়নি।