নরসিংদীর রায়পুরায় প্রেমিকা ইভা আক্তার আত্মহত্যার ২৪ দিন পর অস্বাভাবিক মৃত্যু হলো স্কুলছাত্র সাব্বির মিয়া (১৬)। গতকাল রবিবার বিকাল সাড়ে ৫টায় নিজ বাসায় গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। নিহত সাব্বির উপজেলার রায়পুরা ইউনিয়নের আশ্রাবপুর গ্রামের মো. রতন মিয়ার ছেলে ও আলহাজ ফজলুল হক জেএম উচ্চ বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির ছাত্র।

নিহতের বাবা রতন মিয়ার জানান, স্কুলছাত্রী ইভা আত্মহত্যার ঘটনার দায় চাপানো হয় তার পরিবারের ওপর। এ নিয়ে ইভার বাবা জামাল মিয়া থানায় একটি মামলাও দায়ের করেন। পরে সালিশে বসে তিন লাখ টাকায় তা মীমাংসা করা হয়। এরপরও সাব্বিরকে নানাভাবে হয়রানি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনা দিয়ে আসছিল ইভার মা-বাবা। এমনকি আত্মহত্যার জন্য সাব্বিরের হাতে রশিও তুলে দেয় তারা। পরে গতকাল ফাঁকা বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সাব্বির।

নিহত সাব্বিরের পরিবার ও স্বজনরা, আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে ইভার মা-বাবাসহ কয়েক জনের বিচার দাবি করেন। গতকালের ওই ঘটনার পর ইভাদের বাড়িতে তালা ঝুলতে দেখা গেছে। স্থানীয় এক বৃদ্ধ জানায়, আত্মহত্যা ঘটনা জানাজানি হলে দরজায় তালা লাগিয়ে বাড়ি থেকে চলে যান ইভার মা-বাবা।

পারিবারিক সূত্র জানায়, সাব্বিরের সঙ্গে একই ইউনিয়নের আশ্রাবপুর এলাকার জামাল মিয়ার মেয়ে স্কুলছাত্রী ইভার প্রেমের সর্ম্পক গড়ে ওঠে। পরে আংটি বদলের মাধ্যমে দুই পরিবার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাপ্তবয়স্ক হলে ছেলে-মেয়ের বিয়ে দিবেন। এরপর সাব্বির ও ইভা নিয়মিত মোবাইলে কথা বলা ও দেখা করত। বিয়ের আগে দুজনের মেলামেশায় বরণ করেন ইভার মা। এরই জেরে গত ১২ মার্চ গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে ইভা। এ ঘটনার ২৪ দিন পর গতকাল রবিবার সাব্বিরও আত্মহত্যা করে।

রায়পুরা থানার এসআই মো. মনির হোসেন বলেন, ধারণা করা হচ্ছে প্রেমিকার শোকেই সাব্বির আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য নরসিংদী সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠাই।