সাবেক আইনমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সদ্যঃপ্রয়াত সভাপতি অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু এমপির প্রতি সম্মান দেখিয়ে আজ বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) সুপ্রিম কোর্ট বসছে না।

আপিল বিভাগের ১ নম্বর বেঞ্চে বসার পর প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন আজ সকালে এ সিদ্ধান্ত জানান।

এদিকে আজ সকাল ১০টায় সুপ্রিম কোর্ট চত্বরে আবদুল মতিন খসরুর দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় গত ৫ এপ্রিল থেকে সুপ্রিম কোর্টসহ সারা দেশে আদালতের স্বাভাবিক বিচারকাজ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। তবে জামিন ও জরুরি ফৌজদারি বিষয় শুনানির জন্য ১১ এপ্রিল পর্যন্ত আপিল বিভাগের একটি চেম্বার আদালত, হাইকোর্ট বিভাগে চারটি বেঞ্চ ও অধঃস্তন আদালতে কেবল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত খোলা রাখা হয়।

পরে গত ১২ এপ্রিল থেকে আপিল বিভাগে একটি বেঞ্চ সপ্তাহে তিন দিন, চেম্বার আদালত এবং হাইকোর্ট বিভাগে ৪টি বেঞ্চ খোলা রাখার সিদ্ধান্ত হয়। সেই আলোকে এসব আদালতে জরুরি বিষয়ে বিচার কাজ পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু আব্দুল মতিন খসরুর মৃত্যুতে আজ আদালত বসবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়। 

মতিন খসরু ১৯৯৬ সাল থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের আইনমন্ত্রী ছিলেন। তিনি গত ১০ ও ১১ মার্চ দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে সভাপতি নির্বাচিত হন। গত ১৩ মার্চ বেসরকারিভাবে ফল ঘোষণা করা হয়। এরপর গত ১২ এপ্রিল ফল ঘোষণা করা হয় আনুষ্ঠানিকভাবে। ওই দিনই নতুন কমিটি দায়িত্ব গ্রহণ করে। কিন্তু মতিন খসরু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় তাঁর আর সভাপতির চেয়ারে বসা হয়নি।

করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১৬ মার্চ সকালে ঢাকায় সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) ভর্তি হন মতিন খসরু। এরপর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে গত ২৫ মার্চ রাতে আইসিইউতে নেওয়া হয়। পরে শারীরিক অবস্থায় উন্নতি হওয়ায় ৩১ মার্চ বুধবার কেবিনে নেওয়া হয়। এরপর তাঁর করোনা পরীক্ষা করা হয়।

গত ১ এপ্রিল করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসে। কিন্তু হঠাৎ করে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে ফের ৬ এপ্রিল আইসিইউতে নেওয়া হয় তাঁকে। এরপর তাঁর শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হলে গত ১৩ এপ্রিল তাঁকে লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয়। সেখানেই বুধবার বিকেল পৌনে ৫টায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

আজ বৃহস্পতিবার বাদ আসর কুমিল্লার মিরপুর গ্রামে তাঁর পঞ্চম ও শেষ জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে দেশের এই জ্যেষ্ঠ আইনজীবীকে।