করোনার জটিল রোগীরও ঠাঁই মিলছে না সহজে। হাসপাতালের করিডর, এমনকি বাইরেও অপেক্ষা করতে হচ্ছে। অক্সিজেন মাস্ক পরা রোগীকে রোদ থেকে বাঁচানোর চেষ্টা এক স্বজনের। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সামনে থেকে গতকাল তোলা।

মাঝে দুই দিন মৃত্যু ৮০ জনের নিচে থাকলেও গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা পর্যন্ত আগের ২৪ ঘণ্টায় আবার বেড়ে ৮৮ জনে উঠেছে। তবে প্রায় ধারাবাহিকভাবেই কমছে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা ও হার। ৩৯ দিনের মাথায় শনাক্ত হয়েছে সর্বনিম্ন দুই হাজার ৩৪১ জন। এর আগে গত ২১ মার্চ সর্বশেষ সর্বনিম্ন শনাক্ত ছিল দুই হাজার ১৭২ জন। এর পরে শুধুই বাড়তে থাকে দৈনিক শনাক্তের সংখ্যা, যা গত ৭ এপ্রিল সর্বোচ্চ সাত হাজার ৬২৬ জনে উঠেছিল।

নতুন রোগীর সংখ্যা কমার পাশাপাশি শনাক্তের হারও আবার কমতে শুরু করেছে। ৩৯ দিনের মাথায় আবার ১০ শতাংশের নিচে অর্থাৎ ৯.৩৯ শতাংশে নেমে এসেছে এই হার। সর্বশেষ গত ২০ মার্চ শনাক্তের হার ছিল ৯ শতাংশের ঘরে।

এদিকে সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছে চার হাজার ৭৮২ জন।

সব মিলিয়ে এ পর্যন্ত দেশে মোট শনাক্ত হয়েছে সাত লাখ ৫৬ হাজার ৯৫৫ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছে ছয় লাখ ৭৭ হাজার ১০১ জন এবং মারা গেছে ১১ হাজার ৩৯৩ জন।

গতকাল দেওয়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

ওই বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৮৮ জনের মধ্যে ৫২ জন পুরুষ ও ৩৬ জন নারী। বয়স বিবেচনায় ১১-২০ বছরের একজন, ২১-৩০ বছরের দুজন, ৩১-৪০ বছরের তিনজন, ৪১-৫০ বছরের ১৫ জন, ৫১-৬০ বছরের ১২ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৫৫ জন। এর মধ্যে ঢাকা বিভাগের ৪৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ২২ জন, রাজশাহীর চারজন, খুলনার একজন, বরিশালের চারজন, সিলেটের পাঁচজন, রংপুরের দুজন ও ময়মনসিংহের দুজন রয়েছে। সরকারি হাসপাতালে মারা গেছে ৫২ জন, বেসরকারি হাসপাতালে ৩৩ জন এবং বাসায় মারা গেছে তিনজন।

গত বছর ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা রোগী শনাক্তের খবর দেয় সরকার। এর ১০ দিনের মাথায় ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর দেওয়া হয়। গত বছরের শেষ দিকে ও চলতি বছরের প্রথম দিকে করোনা সংক্রমণ কমে আসে। কিন্তু গত মার্চ মাস থেকে আবার বাড়তে শুরু করে, যাকে দ্বিতীয় ঢেউ বলা হচ্ছে। এর মধ্যে গত ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে দেশে গণটিকাদান কার্যক্রম চলছে।