গরমের সময় তরমুজে সয়লাব থাকে সর্বত্র। রসালো এই ফলটি খেতে বেশ সুস্বাদু। রসে টইটম্বুর এই ফলটির খোসা থেকে শুরু করে বিচিরও রয়েছে অসাধারণ গুণ, যা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী।

যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি দপ্তর থেকে তরমুজের বিচি না ফেলে বরং তা সংরক্ষণের পরামর্শ দিয়েছে। তাদের মতে, অনেক গুণে গুণান্বিত এই বিচি। যা দিনের যেকোনো সময়ই খাওয়া যায়।

পুষ্টিবিদরা পরামর্শ দেন, তরমুজের বিচি কাঁচা খাওয়া যায়। তবে তা  ভালোভাবে শুকিয়ে ওপরের কালো অংশ ফেলে ভেতরের অংশটি খেতে হবে। এতে পুষ্টিগুণ পাওয়া যাবে দ্বিগুণ।

তরমুজের বিচি কেন খাবেন, কী কী পুষ্টি পাচ্ছেন এই বিচি থেকে তাই জানাব আজকের আয়োজনে।

প্রোটিনের উৎস

তরমুজের বিচিতে থাকে অধিক মাত্রায় প্রোটিন। এককাপ তরমুজের বিচিতে পাওয়া যাবে বা ৩০.৬ গ্রাম প্রোটিন। যা মানুষের শরীরের ৬০ শতাশং প্রয়োজনীয় প্রোটিন পূরণে সহায়ক। এছাড়া রয়েছে প্রয়োজনীয় নানা ধরনের অ্যামাইনো অ্যাসিড। এর মধ্যে আর্গিনাইন রয়েছে, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে। হৃদরোগের চিকিৎসার ক্ষেত্রেও এটা উপকারী। এতে আরও রয়েছে গ্লুটামিক অ্যাসিড, লাইসিন, ট্রিপ্টোফানের মতো প্রোটিন।

ফ্যাট সমৃদ্ধ

এককাপ শুকনো তরমুজের বিচিতে পাওয়া যাবে ৫১ গ্রাম ফ্যাট। এর ১১% হলো স্যাচুরেটেড ফ্যাট। বাকিটা পলিস্যাচুরেটেড, মনোস্যাচুরেটেড এবং ওমেগা -৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। আমেরিকান হার্ট অ্যাসোসিয়েশন জানায়, মনো এবং পলি আনস্যাচুরেটেড ফ্যাট রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কম করতে সাহায্য করে। ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করে।

ক্যালরির মাত্রা

এক কাপ তরমুজের শুকনো বিচিতে রয়েছে ৬০০ গ্রাম ক্যালরি, যা শরীরে ক্যালরির মাত্রা পূরণ করে। তবে যাদের ক্যালরিতে নিষেধ রয়েছে তাদের এটি পরিমিত ডায়েটে খেতে হবে।

পাওয়া যাবে ভিটামিন-বি

বিভিন্ন ভিটামিন বি- রয়েছে তরমুজের বিচিতে। আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটির বলছে, খাবারকে এনার্জিতে পরিণত করে ভিটামিন বি। যা শরীরের জন্য় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়াসিনের মতো জরুরি ভিটামিন বি পাওয়া যাবে তরমুজের বিচিতে। যা স্নায়ুতন্ত্র ও পরিপাকতন্ত্রকে রক্ষণাবেক্ষণ করে। ত্বকেরও যত্ন নেবে। আরও রয়েছে থিয়ামিন, রাইবোফ্লাবিন, ভিটামিন বি৬-।


মিনারেলসে ভরপুর
 

খনিজের মধ্যে পাওয়া যাবে ম্যাগনেসিয়াম, যা রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখবে। কার্বোহাইড্রেটের বিপাকেও এটি কাজ করে। এতে রক্তে ব্লাডসুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে। এছাড়াও রয়েছে ফসফরাস, আয়রন, পটাশিয়াম, সোডিয়াম, কপার, ম্যাঙ্গানিজ ও জিঙ্ক, যা শরীরের জন্য় অত্যন্ত উপকারী।