দেশে সর্বোচ্চ আর এক সপ্তাহ টিকার মজুত আছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। মজুত ফুরিয়ে গেলে টিকা প্রয়োগ কার্যক্রমও বন্ধ করা হবে বলেও জানানো হয়।
রোববার (১৬ মে) দুপুরে করোনাবিষয়ক নিয়মিত বুলেটিনে এসব তথ্য জানান স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগনিয়ন্ত্রণ শাখার পরিচালক (সিডিসি) অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম।
নাজমুল ইসলাম বলেন, “দেশে যে পরিমাণ টিকা মজুত আছে, তাতে বড়জোর আর এক সপ্তাহ টিকা প্রয়োগ কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া যাবে। তবে প্রতিষ্ঠান ভেদে এটি দু-এক দিন কমবেশিও হতে পারে।”
টিকার মজুত ফুরিয়ে গেলে টিকা প্রদান কার্যক্রম বন্ধ করা হবে জানিয়ে নাজমুল ইসলাম বলেন, “টিকা প্রদান কার্যক্রম কবে বন্ধ হবে, সেটা নির্ভর করে হাসপাতালগুলোতে কী পরিমাণ টিকা মজুত রয়েছে। কারও যদি আজকে মজুত শেষ হয়ে যায়, তাহলে কালকে আর দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া যাবে না।”
যারা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে আমদানি করা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকার প্রথম ডোজ নিয়েছেন, তাদের শতভাগকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়ার সুযোগ নেই বলে জানান অধ্যাপক নাজমুল। তিনি বলেন, “মজুত টিকা শেষ হওয়ার পর নতুন করে সংগ্রহ না করা পর্যন্ত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা দেওয়া বন্ধ থাকবে।”
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দেওয়া তথ্যমতে, ভারত থেকে কেনা ও উপহার মিলিয়ে মোট এক কোটি দুই লাখ ডোজ টিকা আসে আমাদের দেশে। যার মধ্যে বর্তমানে মজুত আছে ৬ লাখ ৮০ হাজার ৫ ডোজ। অথচ যারা ইতোমধ্যে প্রথম ডোজ টিকা নিয়েছেন এমন ১৪ লাখের বেশি মানুষের দ্বিতীয় ডোজ টিকা নেওয়া বাকি।