ঈদ শেষে কর্মস্থলে ফেরা যাত্রীদের পথে পথে ভোগান্তি, ভাড়া নৈরাজ্য ও গাদাগাদি করে যাতায়াতে স্বাস্থ্যঝুঁকি কমাতে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ সাপেক্ষে গণপরিবহন চালুর দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি।

আজ সোমবার (১৭ মে) এক বিবৃতিতে সংগঠনের মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী এই দাবি জানান।

মোজাম্মেল হক বলেন, ‘করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে একদিকে সরকার ঘোষিত লকডাউনে দূরপাল্লার বাস সার্ভিস বন্ধ। অন্যদিকে ঈদের ছুটিতে রাজধানীতে হোটেল রেস্তোরাঁ ও পয়ঃশৌচাগারসহ মানুষের মৌলিক চাহিদার উপাদানগুলো বন্ধ। এছাড়া ঈদের ছুটিতে বছরে একবার পরিবার-পরিজনের সঙ্গে মিলিত হওয়ার দীর্ঘদিনের গড়ে ওঠা সংস্কৃতির কারণে অবর্ণনীয় দুর্ভোগ মাথায় নিয়ে প্রাইভেট কার, মাইক্রোবাস, ট্রাক-পিকআপে গাদাগাদি করে, কেউবা শত শত মাইল পায়ে হেঁটে, ফেরিতে গাদাগাদি করে পার হয়ে, অতিরিক্ত ভাড়া আদায়ের নৈরাজ্যের শিকার হয়ে ঈদে বাড়ি পৌঁছনোর চিত্র আমরা প্রত্যক্ষ করেছি।’

বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ঈদ শেষে একই পন্থায় সংক্রমণের ঝুঁকি নিয়ে গাদাগাদি করে কর্মস্থলে ফিরছে এসব মানুষ। এই পরিস্থিতিতে কঠোর স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন সাপেক্ষে জরুরি ভিত্তিতে আন্তজেলা ও দূরপাল্লার নন-এসি বাস সার্ভিস চালু করা হলে এসব যাত্রীর ভোগান্তি কমবে। পাশাপাশি স্বাস্থ্যঝুঁকিও কমবে বলে দাবি করা হয় বিবৃতিতে।