‘করোনা সংক্রমণ রোধে ট্রেনের টিকিট ছাড়া কেউ স্টেশনে প্রবেশ করতে পারবে না। টিকিট বিক্রি হচ্ছে ৫০ শতাংশ। কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি হচ্ছে না, সব টিকিট বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে।’

আজ সোমবার (২৪ মে) সকালে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পরিদর্শন করতে এসে গণমাধ্যমকর্মীদের এসব কথা বলেন রেলমন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন।

নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, বিধিনিষেধের সময় বৃদ্ধি করা হলেও, ২৮ জোড়া আন্তনগর ট্রেন দিয়ে শুরু হয়েছে ট্রেন চলাচল। এক আসন ফাঁকা রেখে বিক্রি হচ্ছে টিকিট। টিকিট বিক্রি হচ্ছে ৫০ শতাংশ। তবে কাউন্টারে কোনো টিকিট বিক্রি হচ্ছে না, সব টিকিট বিক্রি হচ্ছে অনলাইনে। তিনি বলেন, ‘স্বাস্থ্যবিধি মানার বিষয়ে সব স্টেশনে নির্দেশনা দেওয়া আছে। এখন যাত্রী কম। যাত্রী বাড়লে, পরে পরিস্থিতি বুঝে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’

৪৯ দিন বন্ধ থাকার পর আজ সোমবার ভোর থেকে আবার  যাত্রীবাহী ট্রেন চলছে। সরকার ঘোষিত অর্ধেক আসনে যাত্রী নিয়ে ট্রেন চলাচল করছে।

রাজধানীর কমলাপুর রেল স্টেশনের ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার বলেন, সোমবার ভোর ৬টা ২০ মিনিটে প্রথমেই ঢাকা-সিলেট রুটে পারাবত এক্সপ্রেস ছেড়ে গেছে। এর আগে ছেড়ে গেছে লোকাল ট্রেন বলাকা এক্সপ্রেস। এছাড়া  সকাল সাড়ে ১১টা পর্যন্ত কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন থেকে বিভিন্ন গন্তব্যে ছেড়ে গেছে বলাকা, পারাবত, মহানগর প্রভাতী, কর্ণফুলী ও কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস।

জানা গেছে, বাসের মতো ট্রেনেও অর্ধেক আসনে যাত্রী নেওয়া হচ্ছে। তবে ট্রেনের টিকিট কাউন্টার বন্ধ রয়েছে। শতভাগ টিকিটই অনলাইনে বিক্রি হচ্ছে বলে জানিয়েছে রেল কর্তৃপক্ষ। তাঁরা বলছেন, ট্রেনে চলতে হলে যাত্রীদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট সবাইকে মাস্ক পরাসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি মানতে হচ্ছে। আপাতত ২৮ জোড়া আন্ত নগর যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হচ্ছে আজ। পরে পরিস্থিতি বিবেচনা করে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানো হবে। তবে সব ধরনের লোকাল ট্রেন বন্ধই থাকছে।

আজ থেকে যে ট্রেনগুলো চলছে, সেগুলো হলো সুবর্ণ এক্সপ্রেস, মহানগর গোধূলি/তূর্ণা, মহানগর প্রভাতী/তূর্ণা, তিস্তা এক্সপ্রেস, যমুনা এক্সপ্রেস, কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস, উপকূল এক্সপ্রেস, পারাবত এক্সপ্রেস, জয়ন্তিকা/উপবন এক্সপ্রেস, মেঘনা এক্সপ্রেস, বিজয় এক্সপ্রেস, পাহাড়িকা/উদয়ন এক্সপ্রেস, একতা এক্সপ্রেস, দ্রুতযান এক্সপ্রেস, বনলতা এক্সপ্রেস, পদ্মা এক্সপ্রেস, সুন্দরবন এক্সপ্রেস, চিত্রা এক্সপ্রেস, রংপুর এক্সপ্রেস, লালমনি এক্সপ্রেস, নীলসাগর এক্সপ্রেস, রূপসা এক্সপ্রেস, মধুমতি এক্সপ্রেস, তিতুমীর এক্সপ্রেস, সাগরদাড়ী এক্সপ্রেস, ঢালারচর এক্সপ্রেস ও টুঙ্গিপাড়া এক্সপ্রেস।

৯ জোড়া মেইল ও কমিউটার ট্রেন চলবে। এগুলো হলো কর্ণফুলী কমিউটার, সাগরিকা কমিউটার, বলাকা কমিউটার, জামালপুর কমিউটার, ঢাকা কমিউটার, রকেট মেইল, মহানন্দা এক্সপ্রেস, পদ্মরাগ কমিউটার ও উত্তরা এক্সপ্রেস। স্বাভাবিক সময়ে দেশে যাত্রীবাহী ৫৬ জোড়া রেল চলে।