করোনাভাইরাসে মৃত্যু ও সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় আগামী সোমবার থেকে সাত দিনের জন্য সারা দেশে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করেছে সরকার। এই সময়ে সরকারি-বেসরকারি অফিস-আদালত বন্ধ থাকবে। বন্ধ থাকবে শপিংমল ও দোকানপাটও। এ অবস্থায় পোশাক কারখানা খোলা রাখার দাবি জানিয়েছেন মালিকরা। 

গার্মেন্টস খোলা রাখার বিষয়ে যুক্তি তুলে ধরে মালিকরা বলছেন, গার্মেন্টস কারখানা বন্ধ হলে শ্রমিকরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে গ্রামে যেতে চাইবে। এ কারণে গার্মেন্টস খোলা রাখা জরুরি।

সারা দেশে আগামী সোমবার থেকে (২৮ জুন) কঠোর লকডাউন আসছে। জরুরি সেবা ছাড়া বাকি সবই বন্ধ থাকবে এ সময়। তবে লকডাউনেও 

তৈরি পোশাক মালিকদের সংগঠন বিজিএমইএ’র সভাপতি ফারুক হাসান বলেন, আমি মনে করি- পোশাক কারখানা এই লকডাউনের বাইরে থাকবে। কারণ তৈরি পোশাক কারখানা যদি বন্ধ করা হয়, তাহলে গার্মেন্টস কর্মীরা তখন গ্রামে যাওয়ার চেষ্টা করবে, বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। এটা সবাই জানে, ছুটি পেলেই শ্রমিকরা গ্রামের দিকে রওনা দেন। এতে করোনার প্রকোপ আরও ছড়িয়ে পড়বে। গ্রাম-শহর একাকার হয়ে যাবে। 

তিনি আরও বলেন, কারখানা বন্ধ রাখা যতটা না উপকার, তার চেয়ে খোলা রাখাই বেশি উপকার। বন্ধ হলে অর্ডার বাতিল হবে, বায়াররা (বিদেশি ক্রেতা) চলে যাবে। ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করার সুযোগ কমে যাবে।

উল্লেখ্য, শুক্রবার রাতে প্রধান তথ্য অফিসার সুরথ কুমার সরকার জানান, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ও মৃত্যু আশঙ্কাজনকভাবে বাড়তে থাকায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আগামী সোমবার থেকে ‘কঠোর লকডাউন’ ঘোষণা করা হয়েছে। ‘কঠোর লকডাউন’ চলাকালীন জরুরি পরিষেবা ছাড়া সব সরকারি বেসরকারি অফিস বন্ধ থাকবে। জরুরি পণ্যবাহী যান ব্যতীত সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে। চিকিৎসা সংক্রান্ত কাজে শুধু যানবাহন চলাচল করতে পারবে। গণমাধ্যম এর আওতামুক্ত থাকবে। এ বিষয়ে আরও বিস্তারিত আদেশ আগামীকাল (শনিবার) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হবে।