আগামীকাল শুক্রবার থেকে আবার ১৪ দিনের ‘শাটডাউনে’ যাচ্ছে দেশ।
এবার গণপরিবহনের সঙ্গে বন্ধ থাকবে সরকারি-বেসরকারি অফিসসহ কলকারখানা। তবে জরুরি পরিষেবা বিবেচনায় খোলা থাকবে ব্যাংক।
সাপ্তাহিক ছুটি শুক্র ও শনিবার ছাড়া সপ্তাহে পাঁচ দিনই সকাল ১০টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত লেনদেন করা যাবে ব্যাংকগুলোতে। ব্যাংক খোলা থাকায় চলবে পুঁজিবাজারের লেনদেনও। গত ১৩ জুলাই এক প্রজ্ঞাপন জারি করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, সাপ্তাহিক ছুটির দিন ব্যতীত বিধি-নিষেধ চলাকালে সীমিত পরিসরে ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালিত হবে। এই সময়ে মাস্ক পরিধানসহ সব ধরনের স্বাস্থ্যবিধি কঠোরভাবে পরিপালন করে সীমিতসংখ্যক লোকবলের মাধ্যমে ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের জরুরি বিভাগসহ প্রয়োজনীয়সংখ্যক শাখা খোলা রাখতে পারবে ব্যাংকগুলো। শাখা খোলা রাখার ব্যাপারে বলা হয়েছে, নিজ বিবেচনায় খোলা রাখা যাবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র সিরাজুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, রবিবার ব্যাংক খোলা থাকবে। এর আগে লকডাউনের কারণে সাপ্তাহিক ছুটির সঙ্গে রবিবার ছুটির বিষয় বিবেচনা করা হয়েছিল। তবে সামনের লকডাউনে রবিবার বন্ধ থাকার বিষয়ে নতুন কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
বিধি-নিষেধ চলাকালে হিসাবে নগদ/চেকের মাধ্যমে অর্থ জমা ও উত্তোলন, ডিমান্ড ড্রাফট/পে-অর্ডার ইস্যু ও জমা গ্রহণ-এসব সেবার পাশাপাশি বৈদেশিক রেমিট্যান্সের অর্থ পরিশোধ, সরকারের বিভিন্ন সামাজিক কর্মসূচির ভাতা/অনুদান বিতরণ ইত্যাদি সেবা মিলবে। এ ছাড়া একই ব্যাংকের খোলা রাখা বিভিন্ন শাখা ও একই শাখার বিভিন্ন হিসাবের মধ্যে অর্থ স্থানান্তর, ট্রেজারি চালান গ্রহণ, অনলাইন সুবিধা-সংবলিত ব্যাংকের সব গ্রাহকের এবং এসব সুবিধাবহির্ভূত ব্যাংকের খোলা রাখা শাখার গ্রাহকরা বাংলাদেশ ব্যাংক কর্তৃক চালু রাখা বিভিন্ন পেমেন্ট সিস্টেমস/ক্লিয়ারিং ব্যবস্থার আওতাধীন অন্যান্য লেনদেন সুবিধা ও জরুরি বৈদেশিক লেনদেন-সংক্রান্ত সেবা পাবেন গ্রাহকরা।
এই সময়ে কার্ডের মাধ্যমে লেনদেন ও ইন্টারনেট ব্যাংকিং সেবা সার্বক্ষণিক চালু রাখার নির্দেশনা দিয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, এটিএম বুথগুলোতে পর্যাপ্ত নোট সরবরাহসহ সার্বক্ষণিক সেবা চালু রাখতে হবে।