মাহফুজ বাবু


কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের মনিপুর স্কুল থেকে রুপুদ্দী পর্যন্ত প্রায় ২এলাকা থেকে অবৈধ গ্যাস সংযোগ দেওয়ার অভিযোগ পেয়ে বুধবার সকালে বাখরাবাদ গ্যাস ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড’র একটি দল অভিযান চালায়। এসময় প্রায় ২,৫০০ (আড়াই হাজার) ফুট গ্যাস পাইপ জব্দ করে তারা। অভিযানের খবর পেয়ে সংযোগকারী ঠিকাদার ও লেবাররা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
সরেজমিনে ঘুরে ও বাখরাবাদ গ্যাস ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড সুত্রে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের মনিপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের পাশ থেকে একই ইউনিয়নের রুপুদ্দী গ্রামে প্রায় দু’কিলোমিটার দীর্ঘ একটি অবৈধ গ্যাস সংযোগ টানার খবর পেয়ে গতকাল বুধবার সকালে প্রতিষ্ঠানটির ডিজিএম (ভিজিল্যান্স) মোঃ আজহারুল ইসলাম ও ম্যানেজার (বিক্রয়) জিয়াউল হকের নেতৃত্বে একটি দল রুপুদ্দী এলাকায় অভিযান চালায়। এসময় অবৈধ সংযোগকারীরা টের পেয়ে পালিয়ে যায়। পরে পরিত্যক্ত অবস্থায় সেখান থেকে প্রায় আড়াই হাজার ফুট দেড় ইঞ্চি মোটা লোহার গ্যাস পাইপ উদ্ধার করে নিয়ে আসে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক গ্রামবাসী সাংবাদিকদের জানান, কুমিল্লার চৌয়ারা এলাকার জামাল চৌধুরী নামের এক ঠিকাদারের মাধ্যমে মনিপুর-রুপুদ্দী এলাকায় রুপুদ্দী খানকায়ে ছালেহীয়া কমপ্লেক্স নামের মাদ্রাসা পরিচালনা কমিটির সদস্যরা গ্যাস সংযোগ প্রদানের কথা প্রতিটি সংযোগের নামে ৮০-৯০ হাজার টাকা করে অর্ধ শতাধিক পরিবারের কাছ থেকে বেশ কিছুদিন আগে টাকা নিয়েছিল। গতকাল বুধবার সেই সংযোগ দেওয়ার সময় বাখরাবাদ অভিযান চালিয়ে পাইপ জব্দ করেছে। এদিকে রুপুদ্দী খানকায়ে ছালেহীয়া কমপ্লেক্স নামের মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মোকাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন বলেন,বিষয়টি আমার জানা নেই। আমাকে কেউ বিষয়টি অবহিত করেনি। টাকা লেনদেনের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি আরো বলেন, বর্তমান কমিটির সাধারন সম্পাদক মফিজ মৈশান, ডাঃ মফিজুল ইসলাম, আব্দুল খালেক, ফারুক ভূইয়া, হাজী আব্দুল বারেক, এজাজ আহমেদ প্রমুখের একটি দল ঠিকাদারের সাথে যোগসাজশে এই অবৈধ সংযোগ টানার কথা তিনি সাংবাদিকদের জানান। সাধারন সম্পদক মফিজুল ইসলামের সাথে বিষয়টি জানতে চেয়ে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি তাট মোবাইল বন্ধ থাকায়। অভিযান পরিচালনাকালে ঘটনাস্থলে উপস্থিত বাখরাবাদের ডিজিএম (ভিজিল্যান্স) মোঃ আজহারুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবৈধ সংযোগ টানার খবরে রুপুদ্দী গ্রামে অভিযান চালিয়েছি। আমাদের উপস্থিতি টের পেয়ে অবৈধ সংযোগকারীরা বিভিন্ন যন্ত্রপাতি নিয়ে পালিয়ে গেলেও বিপুল পরিমান পাইপ জব্দ করেছি। এব্যাপারে বুড়িচং থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর কথাও তিনি উল্লেখ করেন।