ই-অরেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্লাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার (১৮ আগস্ট) রাত ৮ টার দিকে গুলশান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গুলশান থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আমিনুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে যে মামলাটি হয়েছে, সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠানটির চিফ অপারেটিং অফিসার আমান উল্ল্যাহকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সন্ধ্যায় তাকে গুলশান এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আমাদের একটি টিম।
গুলশান থানা সূত্রে জানা যায়, ই-অরেঞ্জের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও) আমান উল্ল্যাহকে গ্রেপ্তারের সময় তার কাছ থেকে ২৪টি ক্রেডিট কার্ড, ১৬ লাখ টাকা এবং গাড়ি জব্দ করা হয়েছে।
অগ্রিম অর্থ পরিশোধের পরও মাসের পর মাস পণ্য না পাওয়ায় মঙ্গলবার (১৭ আগস্ট) সকালে গুলশান থানায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ই-অরেঞ্জের বিরুদ্ধে মামলা করেন প্রতারণার শিকার গ্রাহক মো. তাহেরুল ইসলাম। মামলায় পাঁচ জনকে আসামি করা হয়।
আসামিরা হলেন, ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন, তার স্বামী মাসুকুর রহমান, আমানউল্ল্যাহ, বিথী আক্তার, কাউসার আহমেদ। মামলার পর অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আবুবকর সিদ্দিকের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিনের আবেদন করেন ই-অরেঞ্জের মালিক সোনিয়া মেহজাবিন ও তার স্বামী মাসুকুর রহমান।
শুনানি শেষে আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। বর্তমানে তারা কারাগারে রয়েছেন। তাদের দেশ ত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
অর্ডার করা পণ্য পেতে সোমবার রাজধানীর গুলশান-১ এর সড়ক অবরোধ করেন ই-অরেঞ্জের গ্রাহকরা। এ প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও সংসদ সদস্য মাশরাফি বিন মর্তুজা। সড়ক অবরোধের এক পর্যায়ে রাতেই বিক্ষুব্ধ গ্রাহকরা তার সঙ্গে দেখা করতে মিরপুর-১২ তে তার বাসায় যান।