ঈদুল আজহা সামনে রেখে শিডিউল বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে ট্রেন। ঈদযাত্রার তৃতীয় দিনে আজ শুক্রবার রাজধানীর কমলাপুর স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে ঘরমুখো যাত্রীদের উপচেপড়া ভিড়। গত দুদিন ট্রেনের ছাদে যাত্রীদের উঠতে দেখা না গেলেও আজ তা দেখা গেছে।
সকাল ৮টার দিকে কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ভোর ৬টা ২০ মিনিটে ছেড়ে যাওয়ার কথা থাকলেও তখনো তা প্ল্যাটফর্মে এসে পৌঁছায়নি। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ট্রেনটি ৮টা ২৫ মিনিটে কমলাপুর স্টেশন ছেড়ে যাবে।
অন্যদিকে উত্তরবঙ্গগামী ‘ধূমকেতু এক্সপ্রেস’ তিন ঘণ্টা বিলম্বে সাড়ে ৯টার দিকে ছেড়ে যাবে বলে জানিয়েছে স্টেশন কর্তৃপক্ষ। এটি সকাল সাড়ে ৬টায় ঢাকা ছাড়ার কথা ছিল।
এ ছাড়া সকাল ৮টায় চিলাহাটির উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল ‘নীলসাগর এক্সপ্রেস’। কিন্তু তা সে সময় পর্যন্ত প্ল্যাটফর্মে এসে পৌঁছায়নি। ৩৭টি রুটের মধ্যে দু-একটি বাদে সব ট্রেনই বিলম্বে ছাড়া শুরু করেছে, এতে যাত্রীদের দুর্ভোগ বহুগুণ বেড়েছে।
শুক্রবার সকাল ৮টায় কমলাপুর স্টেশনের বেশ কয়েকটি প্ল্যাটফর্মে দেরি হওয়া ট্রেনের যাত্রীদের অপেক্ষা করতে দেখা যায়। ঈদের ছুটি কাটাতে বাড়ি যাওয়ার জন্য চরম উৎকণ্ঠা নিয়ে অপেক্ষা করছেন তাঁরা।
গতকাল বৃহস্পতিবারও উত্তরবঙ্গের সবকটি ট্রেন দুই থেকে তিন ঘণ্টা দেরি করে স্টেশন ছেড়েছে, সেগুলোই আজ আরো বেশি বিলম্বে ছাড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে। যেহেতু ওই ট্রেনগুলোই ঘরমুখো মানুষকে গন্তব্যে নামিয়ে দিয়ে এসে আবার ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে রওনা দেবে, ফলে বিলম্ব এড়ানো এখন মুশকিল হয়ে পড়েছে।
ঘরমুখো ঢাকাবাসীকে নিজ নিজ গন্তব্যে পৌঁছানোর কাজে ব্যস্ত সময় পার করছেন বেসরকারি বাস ও লঞ্চ সার্ভিসের পাশাপাশি সরকারি প্রতিষ্ঠান রেলওয়ের কর্মকর্তারা। ঢাকার কমলাপুর স্টেশন থেকে আজ শুক্রবার ৩৭টি আন্তনগর ট্রেন ছেড়ে যাবে। এর মধ্যে ৩৪টি হচ্ছে নিয়মিত আন্তনগর ট্রেন আর তিনটি হচ্ছে ঈদ স্পেশাল।
গত দুদিনে যাত্রীদের নিরাপদে ট্রেনে করে ঘরে ফিরতে দেখা গেলেও আজ শুক্রবার সকালে ভেতরে ও ছাদে সমান পরিমাণ যাত্রী নিয়ে ছেড়ে যেতে দেখা যায় জামালপুর-দেওয়ানগঞ্জগামী তিস্তা এক্সপ্রেসকে।