লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইখতিয়ার উদ্দিন সোহাগের (মোটরসাইকেল) কর্মী জহিরুল ইসলামকে বাড়িতে ঢুকে মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। নৌকার প্রার্থী ইউসুফ জালাল কিসমতের ছেলে মিনহাজ হাসান ইফতি তাকে এ হুমকি দেয়। এতে পরিবার নিয়ে জহির আতঙ্কে রয়েছে।
এ ঘটনায় জহির রবিবার (২১ নভেম্বর) সন্ধ্যায় জেলা প্রশাসক, জেলা পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ করেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ‘শনিবার রাত ৮টার দিকে ১৫-২০টি মোটরসাইকেলযোগে ইফতি তার অনুসারী বহিরাগত ৩০-৪০ জনকে ইউনিয়নের চরবগা গ্রামে জহিরের বাড়িতে আসে। সবার হাতে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র ছিল।এর মধ্যে কয়েকজন মুখোশ পড়েছিল। এসময় তারা বাবা-মাকে গালমন্দসহ এলোপাতাড়ি ঘরের টিনের বেড়ায় এলোপাতাড়ি পেটায়।
একপর্যায়ে জহির ঘর থেকে বের হলেই ইফতি তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে বলেছে, ‘প্রার্থী সোহাগ তোর বাবা? তোরে একেবারে ফালাইয়া দিমু’। এতে ভয়ে জহির দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।
এসময় ঘরে থাকা জহিরের বাবা-মাসহ পরিবারের লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। মোটরসাইকেলের ভোট করলে বাড়িঘর পুড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। ইফতি ও তার লোকজন আরো বলেছে, কিসমতের নৌকার ভোট করতে হবে, তা না হলে ইউনিয়ন ছেড়ে চলে যেতে হবে।
ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম বলেন, আমি পরিবার নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছি। যেকোনো সময় কিসমত, ইফতি ও তাদের অনুসারী ক্যাডাররা আমার বড় ধরনের ক্ষতি করতে পারে। আমার কিছু হলে তারা দায়ী থাকবে। আমি সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কাছে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থার দাবি জানাচ্ছি।
মিনহাজ হাসান ইফতি বলেন, জহির আমার এলাকার লোক। আমাদের ভোট করার জন্য তাকে বুঝিয়েছি। কোনো হুমকি দেওয়া হয়নি।
আওয়ামী লীগের প্রার্থী ইউসুফ জালাল কিসমত বলেন, জহির জামায়াতের ক্যাডার। তাকে দিয়ে আমার ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিয়ে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে। অভিযোগে যে যার ইচ্ছেমতো লেখে। আমার ছেলে কি অপরাধ করেছে, তা আমার জানা নেই।
সোনাপুরের রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজসেবা অফিসার শরিফ হোসেনের মোবাইল ফোনে রাত ১০টার দিকে কল দিলে বন্ধ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে লক্ষ্মীপুর জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, আমি কুমিল্লায় ছিলাম। অভিযোগের বিষয়ে আমি এখনো কিছু জানি না। উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার সঙ্গে এ ব্যাপারে কথা বলতে পারেন।
প্রসঙ্গত, ২৮ নভেম্বর রায়পুর উপজেলার ১০টি ইউনিয়নে নির্বাচন হবে।