মুহাম্মদ রকিবুল হাসান :
১লা সেপ্টেম্বর থেকে চালু হচ্ছে সংশোধিত মোটরযান আইনঃ সকলেই সাবধান
সংশোধিত মোটর ভেহিক্যালস আইন কার্যকরী হচ্ছে আগামী ১ সেপ্টেম্বর থেকে। এই আইনুনাযায়ী ট্র্যাফিক বিধি লঙ্ঘনের ক্ষেত্রে আর্থিক জরিমানার পরিমাণ কয়েকগুণ বেশি গুণতে হবে। আইনের ৬৩ ধারায় যে সমস্ত পরিবর্তনগুলি নিয়ে আসা হয়েছে, দেখে নেওয়া যাক এক নজরেঃ-
১. সংশোধিত আইন অনুযায়ী, কোনো জরুরি পরিষেবাপ্রদানকারী গাড়িকে রাস্তা ছাড়তে ব্যর্থ হলে জরিমানার পরিমাণ বাড়িয়ে করা হয়েছে ১০ হাজার টাকা। আগে এই জরিমানার পরিমাণ ছিল ২ হাজার টাকা।
২. যোগ্যতা হারানো কোনো চালক গাড়ি চালালেও ১০ হাজার টাকার জরিমানা হতে পারে।
৩. মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালালে ১০ হাজার টাকার জরিমানা হতে পারে।
৪. কানে মোবাইল ফোনে কথা বলার সময় গাড়ি চালালে জরিমানার পরিমাণ ৫ হাজার টাকা। আগে এ ক্ষেত্রে জরিমানা করা হতো এক হাজার টাকা।
৫. ক্রসিংয়ে লাল সিগন্যাল না মেনে গাড়ি চালালে জরিমানা ৩ হাজার টাকা। আগে যা ছিল ৫০০ টাকা।
৬. গাড়ির গতির ঊর্ধ্বসীমা না মানলে জরিমানা ১-২ হাজার টাকা। আগে এই জরিমানা ছিল ৪০০ টাকা।
৭. কোনো নাবালক গাড়ি চালালে জরিমানার পরিমাণও বেড়েছে। এ ক্ষেত্রে গাড়ির মালিকের জরিমানা ধার্য হয়েছে ২৫ হাজার টাকা।
৮. ড্রাইভিং লাইসেন্স সঙ্গে না রেখে গাড়ি চালালে জরিমানা ৫ হাজার টাকা।
৯. বিমার কাগজের প্রত্যায়িত কপি গাড়িতে না রেখে রাস্তায় বের হলে জরিমানা ২ হাজার টাকা।
১০. সিট বেল্ট না বেঁধে গাড়ি চালালে জরিমানা এক হাজার টাকা।
১১. গাড়িতে ওভার লোডিং করলে ২০ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা।
১২. দু’চাকার গাড়ি (মোটর বাইক, স্কুটি) আরোহী হেলমেট না পরলে জরিমানা বেড়ে দাঁড়িয়েছে এক হাজার টাকা।
১৩. কর্তৃপক্ষের নির্দেশ অমান্য করলে ন্যূনতম জরিমানা ২ হাজার টাকা।
১৪. অন্য দিকে লাইসেন্স নীতি না মানলে সর্বোচ্চ জরিমানা এক লক্ষ টাকা পর্যন্ত। একই সঙ্গে হতে পারে তিন বছরের কারাবাস।
প্রসঙ্গত, দুর্ঘটনার ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ বাড়িয়ে করা হয়েছে ৫ লক্ষ টাকা।