মিন্নি ৭ নম্বর আসামি
অনলাইন ডেস্ক:

স্বীকারুক্তিমূলক জবানবন্দি এবং বন্দুকযুদ্ধে নিহত নয়ন বন্ডের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগ ও মোবাইলে খুদেবার্তার বিশ্লেষণ করে আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে আসামি করা হয়েছে। এমনটি ধারণা করছেন আইনবিদরা। তবে চার্জশিট প্রকাশ না হওয়ায় প্রকৃত কারণ বলতে পারছেন না আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টরা।

ীকারুক্তিমূলক জবানবন্দি এবং বন্দুকযুদ্ধে নিহত নয়ন বন্ডের সঙ্গে বিভিন্ন সময়ে যোগাযোগ ও মোবাইলে খুদেবার্তার বিশ্লেষণ করে আলোচিত বরগুনার রিফাত শরীফ হত্যা মামলায় তার স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিকে আসামি করা হয়েছে। এমনটি ধারণা করছেন আইনবিদরা। তবে চার্জশিট প্রকাশ না হওয়ায় প্রকৃত কারণ বলতে পারছেন না আইনজীবীসহ সংশ্লিষ্টরা।

রোববার বিকেলে বরগুনা জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে তদন্ত কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর ৬১৪ পৃষ্ঠার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। বিকেলে জেলা পুলিশের বিশেষ শাখা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে চার্জশিটের বিষয়টি নিশ্চিত করে। 

রিফাত শরীফ হত্যা মামলার ৬৫টি দিন পর রিফাতের স্ত্রী আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে গতকাল রবিবার বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে চার্জশিট দিয়েছে পুলিশ। আদালতে দাখিলকৃত ৬১৪ পৃষ্ঠার চার্জশিটে মিন্নিকে ৭ নম্বর আসামি করা হয়েছে। গতকাল বিকেল সাড়ে ৪টায় চার্জশিটটি দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা হুমায়ুন কবীর। গতকাল বিকেল সাড়ে ৫টায় জেলা বিশেষ শাখার পুলিশ সুপার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ২৪ জুন বহুল আলোচিত রিফাত শরীফ হত্যা মামলা তদন্ত শেষে ২৪ জন আসামির বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২/ ৩৪/২১২/১০৯/১১৪/১২০-বি (১) ধারায় বিজ্ঞ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। ৬১৪ পৃষ্ঠা সম্বলিত অভিযোগপত্রে ২৪ জন আসামির মধ্যে ১৪ জন অপ্রাপ্ত বয়স্ক। মামলার অন্যতম সাক্ষী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে অভিযোগপত্রে ৭ নম্বর আসামি করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৪ জন আসামি অপ্রাপ্ত বয়স্ক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে শিশু আইনে পৃথক অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে।

বরগুনা কোর্ট পুলিশের কর্মকর্তা (জিআরও) হান্নানুর রহমান মোবাইল ফোনে বলেন, রিফাত হত্যা মামলার পুলিশ প্রতিবেদন তারা উপনথি হিসেবে নিয়মানুসারে গ্রহণ করেছেন। পরবর্তীতে মূল নথি হাতে পেলে পর্যালোচনা সাপেক্ষে পদক্ষেপ নেয়া হবে।

পুলিশের নির্ভরযোগ্য সূত্রের তথ্যমতে, মামলায় রিফাত শরীফকে হত্যায় তার স্ত্রী মিন্নিকে ‘ষড়যন্ত্রকারী’ ও ‘প্রত্যক্ষভাবে’ জড়িত দেখানো হয়েছে। আয়শা সিদ্দিকা মিন্নিকে নিয়ে নয়ন বন্ডের সঙ্গে ব্যক্তিগত বিরোধের জেরে নয়ন বন্ডসহ অন্য আসামিরা রিফাত শরীফকে হত্যার পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনার সঙ্গে মিন্নি শুরু থেকে জড়িত ছিলেন। মুলত মিন্নিকে নিয়ে বিরোধিতার জেরেই আসামিরা রিফাতকে হত্যা করে বলে পুলিশ প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

গত ২৬ জুন সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বরগুনা সরকারি কলেজের সামনে নয়ন বন্ডের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে রামদা দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে রিফাত শরীফকে। তার স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি হামলাকারীদের সঙ্গে লড়াই করেও তাদের দমাতে পারেননি। গুরুতর আহত রিফাতকে ওইদিন বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে বিকেলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

রিফাতকে কুপিয়ে হত্যার ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিওতে প্রাথমিকভাবে রিফাতের স্ত্রী মিন্নির সাহসী ভূমিকা দৃশ্যমান হলেও পরবর্তীতে নানা নাটকীয়তায় শেষ পর্যন্ত এই হত্যাকাণ্ডে আসামি হয়ে কারাগারে যেতে হয় মিন্নিকে।