বাস চাপায় বিআইডব্লিউটিসি কর্মকর্তা কৃষ্ণা রায় চৌধুরীর পা হারানোর ঘটনায় প্রধান আসামি গাড়ির চালক মোরশেদকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) ঢাকা মেট্রোর উত্তর বিভাগ।
রাজধানীর মিরপুর কাজীপাড়া থেকে রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রোর উত্তর বিভাগের এসপি বশির আহমেদ। তিনি বলেন, তাকে আজই আদালতে সোপর্দ করা হবে।
আহত কৃষ্ণা রায় (৫৫) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) সহকারী ব্যবস্থাপক (অর্থ) পদে কর্মরত।
মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর বাংলামোটরে ফুটপাতে উঠে গিয়ে ওই নারীর পা পিষে দিয়ে চলে যায় ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের একটি বাস। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর চিকিৎসকরা হাঁটুর নিচ থেকে তার পা কেটে ফেলেন।
পুলিশ জানায়, অফিস শেষে বাসে উঠতে বাংলামোটরে সড়কের পূর্ব পাশের ফুটপাতে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। ওই সময় শাহবাগমুখী ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের একটি বাস ফুটপাতে উঠে গেলে তার নিচে কৃষ্ণা চাপা পড়েন।
গুরুতর আহত অবস্থায় কৃষ্ণাকে উদ্ধার করে প্রথমে হলি ফ্যামিলি হাসপাতালে এবং পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজে (ঢামেক) নেয়া হয়। সর্বশেষ সেখান থেকে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম জানান, ট্রাস্ট ট্রান্সপোর্ট সার্ভিসের একটি দ্রুতগামী বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফুটপাতের ওপরে দাঁড়িয়ে থাকা আমাদের সহকর্মী কৃষ্ণা রায়কে চাপা দেয়। উনার বাঁ পায়ে প্রচণ্ড আঘাত লাগে। পরে অন্য সহকর্মীদের সহযোগিতায় প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়, সেখান থেকে পাঠানো হয় পঙ্গু হাসপাতালে।
ঘটনার পরের দিন হাতিরঝিল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন কৃষ্ণার স্বামী রাধে শ্যাম চৌধুরী। এর আগে ট্রাস্ট পরিবহনের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার প্রস্তাব দেয়া হয়। ওই প্রস্তাবে রাজি না হয়ে তিনি মামলাটি করেন।