অনলাইন ডেস্ক

‘চুল তার কবে কার অন্ধকার বিদিশার নিশা’,  জীবনানন্দ দাশের কবিতার মতো চুল না হোক, একটু সুন্দর ও ঝলমলে চুল কে না চায়? কিন্তু চাইলেই তো হয় না, প্রতিদিনের ধুলাবালি কিংবা আরও নানা কারণে চুল তার সৌন্দর্য হারায়। তবে চুলের সব সমস্যার রয়েছে একটি মাত্র দাওয়াই, আর তা হলো আমলকি।

আমলকি ‘ত্রিফলা’র মধ্যে অন্যতম। এটি আমাদের চুলকে সুস্থ ও সুন্দর করে তুলতে সাহায্য করে। গবেষণায় দেখা গেছে, আমলকিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট  ক্যানসারের মরণঘাতি রোগকেও  দূরে রাখে। এটি চুলের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি চুল ঝরে যাওয়া, খুশকি, অ্যালোপেশিয়া অ্যারিয়েটাসহ নানা সমস্যা দূর করতে সহায়তা করে। 

আমলকিতে থাকা ফাইটো কেমিক্যালস ত্বক ভালো রাখে। আর চুল যেহেতু ত্বকেরই বর্ধিত অংশ, তাই এই বিশেষ উপাদানটি চুলও ভালো রাখে।

যাদের চুল সহজে বড় হতে চাচ্ছে না তারা আমলকি ব্যবহার করতে পারেন। আমলকিতে থাকা ভিটামিন-সি ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস মাথার ত্বকের রক্ত সঞ্চালন বাড়িয়ে চুল বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।

আমলকি প্রাকৃতিক কন্ডিশনার হিসেবে দারুণ কাজ করে। কন্ডিশনার হিসেবে আমলকি ব্যবহার করতে প্রথমে এটি শুকিয়ে নিন। এর পর শুকনো আমলকি গুঁড়া করে তা পানিতে মিশিয়ে পেস্ট বানান। এই পেস্টটি মাথায় দিয়ে ঘণ্টা খানেক পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। ব্যাস, ঝরঝরে চুল পেয়ে গেলেন নিমিষেই।

অনেকেই খুশকির সমস্যায় ভোগেন। খুশকির সমস্যা মোকাবিলায় আমলকির জুড়ি মেলা ভার। আমলকিতে থাকা ভিটামিন সি সংক্রমণ প্রতিরোধ করার পাশাপাশি মাথার শুষ্ক ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করে খুশকির সমস্যা সারিয়ে তোলে।

নানা রকম দূষণেও চুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এজন্য সপ্তাহে দুদিন আমলকির রস চুলের গোড়ায় দিন। আমলকিতে থাকা অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আপনার চুলকে দূষণের হাত থেকে রক্ষা করবে।

অনেকেরই অকালেই চুল পেকে যায়। এ সমস্যা থেকে সমাধান পেতে আমলকির তেল ব্যবহার করুন। কৃত্রিম রঙ ব্যবহার করে পাকা চুল না ঢেকে সহজেই সমাধান পাবেন।