বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ নকল, উৎপাদন ও বাজারজাত করায় রাজধানীর হাতিরপুলে সিলভেন ট্রেডিং এবং টোটাল ফার্মা নামক দুটি প্রতিষ্ঠানকে ৪০ লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
ওষুধ প্রশাসন অধিদফতরের সহযোগিতায় মঙ্গলবার দুপুর এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করেন র্যাব সদর দফতরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
এ ব্যাপারে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম জাগো নিউজকে বলেন, বিদেশি বিভিন্ন কোম্পানির ওষুধ নকল ও অনুমোদন ছাড়া বাজারজাত করা আইনত অপরাধ। কিন্তু সিলভেন ট্রেডিং এবং টোটাল ফার্মা সেই অবৈধ কাজটিই করে আসছিল। প্রতিষ্ঠান দুটি মিডফোর্ডে অবৈধভাবে বিদেশি ওষুধ নকল করে নিয়ে আসে। এরপর হাতিরপুলে নিজস্ব কার্যালয়ে প্যাকেজিং ও মোড়কজাত করে আসছিল।
জব্দকৃত ওষুধের মধ্যে রয়েছে থাইল্যান্ডের ওষুধ প্রফিমিয়া, আমেরিকার ট্যাবলেট বিসতা, ম্যাক্স ডি, ক্যাপসুল ভিটাল-ই প্লাস, ইস্তাম্বুলের ক্রিম বেটাসেলিক, ইলোকন, ডিফরিন ও হংকং এর শ্যাম্পুসহ ১৪ রকমের পাঁচ কোটি টাকা মূল্যের ওষুধ জব্দ করা হয়। জব্দকৃত ওষুধের মধ্যে কোনোটার লেভেল ছিল না। কোনটির আবার শুধু লেভেল ছিল।
ধানমন্ডি এলিফেন্ট রোডের ১৮৫ রোজ ডিউ প্লাজাস্থ সিলভেন ট্রেডিং কোং এর মো. জাহাঙ্গীর আলমকে ২ বছরের কারাদণ্ড ও ২০ লাখ টাকা জরিমানা এবং কর্মচারী মো. নুরুল ইসলামকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে।
অন্যদিকে একই ভবনের টোটাল ফার্মা ও টোটাল হারবাল অ্যান্ড নিউট্রাসিউটিক্যাল এর মালিক এসএম হোসেন এবং ম্যানেজার এডমিন রফিকুল ইসলাম ভূইয়াকে ২০ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। একই অভিযোগে অনুপস্থিত এরিস্টোক্রাট কেয়ারের মালিক মো. গোলাম মোস্তফার বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
সারওয়ার আলম বলেন, বিদেশি ব্র্যান্ডের ওষুধ হিসেবে বাজারে বিক্রি করলেও ওইসব নকল ওষুধের নেই কোনো গুণগত মান। ভোক্তারা এই ধরনের প্রতারণামূলক ওষুধ ক্রয়ে প্রতারিত হচ্ছেন। অসুস্থদের চিকিৎসায় কোনো কাজে আসছে না।