যৌতুকের টাকা না পেয়ে নাসিমা খাতুন নামে এক গৃহবধূকে গরম তেলে ঝলছে দিয়েছে তার স্বামী আসাদুল। পরে বিষয়টি হওয়ার ভয়ে ওই অবস্থায় ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখা হয়। ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলার কুশমাইল ইউনিয়নের ধামর গ্রামে গত ৮ই অক্টোবর নৃশংস এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা ৭ দিন পর গতকাল সোমবার গৃহবধূর বাবার বাড়ির লোকজন তালাবদ্ধ অবস্থা থেকে মুক্ত করে হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
সূত্র জানায়, উপজেলার নাওগাঁও ইউনিয়নের কাষ্ঠগড়া গ্রামের নুর মোহাম্মদের মেয়ে নাসিমা খাতুনের সঙ্গে পার্শ¦বর্তী কুশমাইল ইউনিয়নের ধামর গ্রামের তোতা মিয়ার পুত্র আসাদুলের ৭ বছর আগে বিয়ে হয়। তাদের ঘরে আফিয়া (১) নামের কন্যা শিশু রয়েছে।
গরম তেলে ঝলসে যাওয়া নাসিমা খাতুন জানান, বিয়ের সময় তার স্বামীকে দেড় লাখ টাকা যৌতুক দেয়া হয়। সম্প্রতি আরও ৫০ হাজার টাকা যৌতুকের জন্য স্বামী আসাদুল প্রায়ই তাকে মারপিট করতো।
গত ৮ই অক্টোবর দুপুরে রান্না করার সময় তাদের মধ্যে আবারও যৌতুকের টাকার জন্য কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে রান্না করা গরম তেল ছিটিয়ে দিয়ে স্ত্রীর শরীর ঝলসে দেয় আসাদুল। বিষয়টি যাতে জানাজানি না হয় সেজন্য ওই অবস্থায় গৃহবধূকে একটি ঘরে তালাবদ্ধ করে ৭ দিন আটক করে রাখে স্বামী আসাদুল, শ্বশুড় তোতা মিয়া, শাশুড়ি রহিমা খাতুন। পরে গতকাল সোমবার সকালে নাসিমার বাবার বাড়ির লোকজন তালাবদ্ধ ঘর থেকে গৃহবধূকে উদ্ধার ফুলবাড়ীয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
গৃহবধূর ভাই এছাহাক আলী জানান, আমার বোনকে এর আগেও বিড়ির ছ্যাকা দিয়ে নির্যাতন করে তার স্বামী। গরম তেলে শরীর ঝলসে দেয়ার পর স্বামী শ্বশুর, শাশুড়ি বিষয়টি জানাজানি হলে কোলের শিশু সন্তানকে হত্যার হুমকি দেয়।
স্থানীয় নাওগাঁও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুর রাজ্জাক জানান, গরম তেলে গৃহবধূর শরীর ঝলসে দেয়া হয়েছে। তার চোখের ডান পাশ মারাত্মকভাবে ক্ষত হয়েছে।