নতুন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির দীর্ঘ কাঙ্ক্ষিত ঘোষণা দেওয়া হলো আজ বুধবার (২৩ অক্টোবর)। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গণভবনে দুপুর ১২টায় ২৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির এই ঘোষণা দিলেন। এই সিদ্ধান্ত গত জুলাই থেকে কার্যকর হবে।
এর আগে গতকাল মঙ্গলবার আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে এমপিওভুক্তি বিষয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণার তথ্য জানান শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। একইসঙ্গে নন-এমপিও শিক্ষকদের অনশন কর্মসূচি প্রত্যাহার করে ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানান তিনি। শিক্ষামন্ত্রীর আহ্বানে সাড়া দিয়ে গতরাতে অনশন কর্মসূচি স্থগিত করেন শিক্ষকরা।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ভরযোগ্য সূত্রও জানিয়েছিল, এবার দুই হাজার ৭৩০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত হচ্ছে। সেগুলোর মধ্যে স্কুল ও কলেজের সংখ্যা এক হাজার ৬৫১, মাদরাসার সংখ্যা ৫৫৭ এবং কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫২২। সম্পূর্ণ নতুন স্কুল-কলেজ এমপিওভুক্ত হয়েছে ৬৮০টি এবং নতুন স্তর এমপিওভুক্ত হচ্ছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৯৭১। নতুন এমপিওভুক্তির মধ্যে নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৪৩৯টি, মাধ্যমিক বিদ্যালয় ১৪৬টি, স্কুল অ্যান্ড কলেজ দুটি এবং কলেজ ৯৩টি। আর স্তর এমপিওভুক্ত হয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে মাধ্যমিক বিদ্যালয় ৮৪৯টি, স্কুল অ্যান্ড কলেজ ৬৬টি এবং কলেজ ৫৬টি।
সূত্র মতে, নতুন এমপিওভুক্ত দাখিল মাদরাসার সংখ্যা ৩৫৯, নতুন স্তর এমপিওভুক্ত হচ্ছে এমন প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আলিম ১২৭টি, ফাজিল ৪২টি ও কামিল ২৯টি। কারিগরির সব প্রতিষ্ঠানই নতুন এমপিওভুক্ত হচ্ছে। এর মধ্যে কৃষি ৬২টি, ভোকেশনাল স্বতন্ত্র ৪৮টি, ভোকেশনাল সংযুক্ত ১২৯টি, বিএম স্বতন্ত্র ১৭৫টি এবং বিএম সংযুক্ত ১০৮টি প্রতিষ্ঠান।
জানা যায়, সর্বশেষ ২০১০ সালে এক হাজার ৬২৪টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্ত করা হয়েছিল। এর পর থেকে শিক্ষকরা এমপিওভুক্তির জন্য আন্দোলন করে আসছেন। এমনকি সংসদ সদস্যরাও এমপিওভুক্তির জন্য জাতীয় সংসদে একাধিবার বলেছেন। গত বছরের জুন মাসে এমপিও নীতিমালা জারি করার পর শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্তির জন্য দুটি কমিটি গঠন করে। অনলাইনে আবেদন নেওয়ার পর তা যাচাই-বাছাইয়ে দীর্ঘ সময় লাগে। তবে চলতি অর্থবছরের বাজেটে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওভুক্তির জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছে বলে জানানো হয়।