স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল কোনো ধরনের গুজবে বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্য সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, অসৎ উদ্দেশ্যে কেউ যেন গুজব ছড়াতে না পারে সেই ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আজ শনিবার রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটরিয়ামে আয়োজিত কমিউনিটি পুলিশিং ডে- ২০১৯ উপলক্ষে আয়োাজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ আহ্বান জানান।
অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম সভাপতিত্ব করেন। এতে পুলিশের অতিরিক্ত আইজি ড. মো. মইনুর রহমান চৌধুরী বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
এছাড়া অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ও সিটিটিসি প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম ও অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণ পদ রায়সহ উর্দ্ধতন পুলিশ কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
গুজব প্রতিরোধে কমিউনিটি পুলিশকে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আপনারা জানেন, প্রতিদিন বাংলাদেশে কোনো না কোনো চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হতে হয়। আপনাদের সহযোগিতায় সেসব চ্যালেঞ্জ একের পর এক মোকাবিলা করা হচ্ছে। আপনারা দেখেছেন, ভোলায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কী একটি ঘটনা ঘটানো হয়েছে। আপনাদের প্রথম কাজ হবে এই মিথ্যা ও ভুল তথ্যের বিভ্রান্তি যেন তৈরি না হয় সেটা নিশ্চিত করা। ফেসবুকের প্রভাব আমরা রামুতে দেখেছি, নাসিরনগরেও দেখেছি। অতি সম্প্রতি ভোলাতেও দেখেছি। সেজন্য সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভুল তথ্য নিয়ে সচেতনভাবে কমিউনিটি পুলিশকে কাজ করতে হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দৃঢ়তার সাথে বলেন, আমরা জঙ্গি ও সন্ত্রাস মুক্ত করেছি, মাদকও মুক্ত করতে পারবো। মাদকের সঙ্গে জড়িতদের কাউকে ছাড় দেয়া হবে না। সে যেই হোক তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
তিনি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের দেখানো পথে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখে দেশকে বিশ্বের কাছে উচ্চমাত্রায় পৌঁছে দিয়েছেন। এই উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে হলে সবার আগে প্রয়োজন মানুষের নিরাপত্তা। এটা পুলিশের একার পক্ষে সম্ভব নয়, পুলিশকে সবাই সহযোগিতা করতে হবে। তাদেরকে তথ্য দিয়ে সহায্য করতে হবে। সেইজন্য আমরা কমিউনিটি পুলিশিং ব্যবস্থা চালু করেছি। জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হলে পুলিশ ও জনগণ এক সাথে কাজ করতে হবে বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে যাচ্ছেন। সেজন্য আমরা জঙ্গি মোকাবিলা করতে পেরেছি। এখন আমরা বীরদর্পে বলতে পারি, আমরা জঙ্গি ও সন্ত্রাস দমন করতে পেরেছি, মাদকও মুক্ত করতে পরবো