বাংলাদেশের টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক সাকিবের কারণে ১০০ কোটি টাকা পায়নি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। জনপ্রিয় ইংরেজি দৈনিক ‘ডেইলি স্টার’কে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন একথা বলেন।
বিসিবি প্রধান বলেন, খেলোয়াড়রা আলাদা চুক্তি করলে বোর্ড স্পন্সরশিপ পায় না। তাই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, কোনো খেলোয়াড় টেলিকম কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে না। অন্য কোথাও চুক্তি করলেও সেটা বোর্ডকে জানাতে হবে। আর চুক্তি করতে না দিলে খেলোয়াড়দের ক্ষতিপূরণও দেয়া হয় বলে জানালেন বোর্ড সভাপতি। এছাড়া কোম্পানিগুলোকেও বলে দেয়া হয়েছে কারও সঙ্গে চুক্তি করতে পারবে না।
কিন্তু সাকিবের এবারের চুক্তির কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিসিবি এবং ক্ষতিটা নাকি প্রায় ১০০ কোটি টাকার! বিসিবি সভাপতির ভাষায়, ‘লক্ষ্যটা কি ছিল? আগামী বছর আমাদের দলের স্পন্সরশিপ বিক্রি করবো, তখন টেলিকম কোম্পানিগুলো আসুক। এখন কি কেউ আসবে? সাকিব না হয় ২-৩ কোটি টাকা পেয়ে গেল, কিন্তু আমরা তো কমপক্ষে ১০০ কোটি টাকা হারালাম। এতে কি অন্য খেলোয়াড়রা ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি? এটা সে আইনগতভাবে পারে না। চুক্তিতে পরিষ্কার লেখা আছে। এটার জন্য কেন চিঠি দিলাম, সেজন্য একজন বোর্ডের সিনিয়র পরিচালক বলেন- এটা কেন করলেন? করা ঠিক হলো? তো করব কি, ছেড়ে দেব?’
তিনি আরো বলেন, ‘ও (সাকিব) যদি ১০০ কোটি টাকা পেতো তবু মানতাম। ও তো পেয়েছে মাত্র ৩ কোটি। আর আমাদের এত টাকা লোকসান করে দিলো? এটা তো হয় না। ওদের কথায় তো কিছু যায় আসে না। যে কোনো পেশাদার সংগঠনে যেমন করা উচিত, তেমনই করেছি।’
এদিকে জুয়াড়ির পক্ষ থেকে ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব গোপন করায় আইসিসির কাঠগড়ায় বিশ্বসেরা এ অলরাউন্ডার। সাকিবকে আইসিসি ১৮ মাসের নিষেধাজ্ঞা দিতে পারে বলেও শোনা যাচ্ছে। তবে এখনও আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি।