কক্সবাজারের টেকনাফে এক রোহিঙ্গা আটকের পর ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি, নিহত ব্যক্তি ডাকাত ছিলেন। এ সময় আহত হয়েছেন তিন পুলিশ সদস্য। আজ ভোরে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতের বিরুদ্ধে ডাকাতি, মানবপাচার, মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগ ও মামলা রয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে ১টি বিদেশী পিস্তল ও বুলেট উদ্ধার করা হয়েছে।

সূত্র জানায়, পুলিশের হাতে আটক নয়াপাড়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এইচ ব্ল­কের মৃত বাকের আহমদের পুত্র মাহমুদুল হাসান (৩৭) কে নিয়ে আজ ভোরে অস্ত্র উদ্ধারে যায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রেদুয়ান আহমদের নেতৃতে টেকনাফ মডেল থানার একদল পুলিশ। আটক ব্যক্তির দেয়া তথ্যমতে, শালবাগান ক্যাম্প সংলগ্ন পাহাড়ে অভিযানে গেলে সশস্ত্র রোহিঙ্গা ডাকাত এবং পুলিশের মধ্যে ব্যাপক  গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

এ সময় ক্যাম্প এলাকায় সাধারণ রোহিঙ্গাদের মধ্যে আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় পুলিশ কনস্টেবল মিঠুন, শাহীন ও হাবিব আহত হন।

পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করলে কিছুক্ষণ পর হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ১টি বিদেশী পিস্তল, বেশ কয়েক রাউন্ড বুলেটসহ গুলিবিদ্ধ ডাকাত মাহমুদুল হাসানকে উদ্ধার করে  টেকনাফ উপজেলা সদর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য সেখান থেকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত  ঘোষণা করেন। মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।