বাংলাদেশ জাহাজ শ্রমিক ফেডারেশনের ১৪ দফা ও নৌযান শ্রমিক কর্মচারী ইউনিয়নের ১১ দফা বাস্তবায়নের দাবিতে সারাদেশে আবারও ধর্মঘট করছেন নৌযান শ্রমিকরা।
শুক্রবার রাত ১২টা থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়। তবে শ্রম মন্ত্রণালয় বলছে সব দাবি মেনে নেয়ার পরও ধর্মঘট অযৌক্তিক।
ধর্মঘটের আওতায় ঢাকার সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনালের পাশাপাশি চাঁদপুর, বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর ও ঝালকাঠিসহ ৩৩ নৌপথে সব ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে। সেই সাথে পায়রা ও চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে মালামাল খালাসে নিয়োজিত লাইটার জাহাজ ধর্মঘটের আওতায় থাকবে।
শ্রমিকদের ১১ দফা দাবির মধ্যে রয়েছে বেতন-ভাতা বৃদ্ধি, ঝুঁকি ভাতা, নৌপথে চাঁদাবাজি বন্ধ, বিশুদ্ধ পানি ও তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থা ও চিকিৎসা ভাতা। এসব দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন শ্রমিকরা।
এ নিয়ে তৃতীয়বারের মতো ধর্মঘট করছে নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন।
এদিকে ধর্মঘটের প্রথম দিন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের পাল্টাপাল্টি অবস্থান লক্ষ্য করা গেছে। মালিক পক্ষের হস্তক্ষেপে শনিবার সকালে স্বল্প সংখ্যক লঞ্চ সদরঘাট থেকে চাঁদপুর ও শরিয়তপুরের উদ্দেশে যাত্রা করলেও শঙ্কা কাটছে না দূরপাল্লার লঞ্চ চলাচল নিয়ে।
শ্রমিক সংগঠনের ধর্মঘটকে অযৌক্তিক দাবি করে মালিকপক্ষ বলছে লঞ্চ যোগাযোগ স্বাভাবিক রাখতে শক্ত অবস্থানে থাকবেন তারা।
অন্যদিকে ২০১৬ সালে ঘোষিত গেজেট অনুযায়ী সব নৌযান শ্রমিকদের বেতন ভাতা নিশ্চিতসহ ১১ দফার পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত ধর্মঘট চালিয়ে যাওয়ার দাবিতে অটল শ্রমিকরা।
সংগঠনের সভাপতি শাহ আলম ভূইয়া বলেন, ‘মালিকরা ইতিপূর্বে কিছু দাবি মেনে নিলেও অধিকাংশ দাবি এখনও পূরণ না করায় নৌযান শ্রমিকরা লাগাতার ধর্মঘট চালিয়ে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।’
সকালে ঢাকা থেকে কিছু লঞ্চ ছাড়লেও, ভিন্নচিত্র দেখা গেছে বরিশালসহ দক্ষিণাঞ্চলের নৌযানগুলোতে। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা।