উদ্ধার বা জব্দ করা মাদকদ্রব্য পরিমাপের জন্য দেশের প্রতিটি থানায় ডিজিটাল পরিমাপক যন্ত্র সরবরাহে ব্যবস্থা নিতে পুলিশের মহাপরিদর্শককে (আইজিপি) নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি কে এম জাহিদ সারওয়ারের হাইকোর্ট বেঞ্চ গতকাল রবিবার এ আদেশ দেন। মাদকদ্রব্য আইনের এক মামলায় কারাবন্দি এক আসামির জামিন আবেদনের ওপর শুনানিকালে এ আদেশ দেন আদালত। রাজধানীর কাফরুল থানায় করা মামলার আসামি মো. সাগর এ আবেদন করেন। তার পক্ষে আইনজীবী ছিলেন অ্যাডভোকেট উজ্জ্বল পাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
আইনজীবীরা জানান, গতবছর ২ আগস্ট ১০০ গ্রাম হেরোইনসহ মো. সাগর নামের এক যুবককে কাফরুল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ওইদিনই এই ঘটনায় কাফরুল থানার এসআই সোহেল রানা বাদী হয়ে সাগরের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন। এ মামলার তদন্ত শেষে এসআই ইমদাদুল হক একই বছরের ১০ সেপ্টেম্বর অভিযোগপত্র দাখিল করেন। অভিযোগপত্রে রাসায়নিক পরীক্ষায় ১২ গ্রাম হেরোইন পাওয়া গেছে বলে উল্লেখ করা হয়।
হাইকোর্টে সাগরের জামিন আবেদনের শুনানিকালে হেরোইনের পরিমাপে অসংগতির বিষয়টি আদালতের নজরে আসার পর হাইকোর্ট মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তাকে তলব করেন। পরে দুইজনই আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দেন ও নিঃশর্ত ক্ষমা চান। তারা জানান, থানায় ওজন পরিমাপের কোনো যন্ত্র না থাকায় বাইরে থেকে পরিমাপ করে অনুমানের ভিত্তিতে ওই ওজন উল্লেখ করা হয়।
এরপর আদালত তাদের ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে দেন। একইসঙ্গে প্রতি থানায় ওজন পরিমাপক যন্ত্র সরবরাহে ব্যবস্থা নিতে আইজিপিকে নির্দেশ দেন। এ ছাড়া সাগরকে কেন জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন আদালত।