করোনাভাইরাস প্রতিরোধে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। গত ২১ জানুয়ারি (মঙ্গলবার) থেকে শাহজালালে সকল যাত্রী বিশেষ করে চীন থেকে প্রতিদিন চারটি ফ্লাইটে আসা যাত্রীদের থার্মাল স্ক্যানার ও হ্যান্ড স্ক্যানার (জ্বর পরিমাপক যন্ত্র) দিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে। আজ বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সকাল পর্যন্ত চীন ফেরত ৩ হাজার ৭৫৪ জন যাত্রীর স্ক্রিনিং সম্পন্ন হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত কোনো রোগী পাওয়া যায়নি।
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে কর্মরত স্বাস্থ্য অধিদফতরের সহকারী পরিচালক ডা. শরীফুল সাজ্জাত জানান, বিমানবন্দরে আগত সকল যাত্রীকেই থার্মাল ও হ্যান্ড স্ক্যানারের মাধ্যমে পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে চীন থেকে প্রতিদিন আগত চারটি ফ্লাইটের সকল যাত্রীকে বিশেষ নজরদারিতে রেখে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। বর্তমানে ৩টি থার্মাল ও ৩টি হ্যান্ড স্ক্যানারের মাধ্যমে স্ক্রিনিং চলছে। ৬টি মেশিনের মধ্যে ৪টি সাধারণ গেট (২টি থার্মাল ও ২টি হ্যান্ড) এবং বাকি দুটি (১টি থার্মাল ও ১টি হান্ড) স্ক্যানার ভিআইপি গেটে রয়েছে।
তিনি জানান, বিমানবন্দর কন্ট্রোল রুমের সাথে যোগাযোগ করে আগে থেকেই চীন থেকে আগত বিমানের সময়সূচি জেনে নেয়া হয়। ফ্লাইট অবতরণের পর নরমাল ও ভিআইপিতে স্বাস্থ্যকর্মীরা চলে যান এবং যাত্রীদের ইমিগ্রেশনে নিয়ে আসেন। এর মধ্যে তারা ফ্লাইটের যাত্রীদের কাছ থেকে হেলথ ডিক্লারেশন ফরম ও অন্যান্য তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করেন।
ডা. সাজ্জাত আরও জানান, কোনো যাত্রীর শরীরে ১০০ ডিগ্রির ওপরে জ্বর থাকলেই স্ক্যানারে লালবাতি জ্বলে উঠছে। ২১ জানুয়ারি থেকে এখন পর্যন্ত এমন চারজন জ্বরের রোগী পাওয়া গেছে।
একাধিক স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির মধ্যে রোগের উপসর্গ তাৎক্ষণিকভাবে নাও দেখা দিতে পারে। আক্রান্ত হওয়ার দুই সপ্তাহ (১৪ দিন) পর্যন্ত উপসর্গ দেখা দিতে পারে। ফলে এ সময়টা সংশ্লিষ্ট রোগীকে নরজদারিতে রাখা খুবই জরুরি।
তবে আইইডিসিআর ল্যাবরেটরিতে ২৯ জানুয়ারি (বুধবার) পর্যন্ত ৮ জন জ্বরের রোগীর নমুনা পরীক্ষা করা হলেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার রিপোর্ট পাওয়া যায়নি বলে জানান তারা।
স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, করোনাভাইরাস সম্পর্কে শাহজালালে কর্মরত বিভিন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের মাঝে আরও অধিকতর সমন্বিত কার্যক্রম পরিচালনায় করণীয় নির্ধারণে আজ (বৃহস্পতিবার) বিকেল ৩টায় সভা বসছে। সভায় স্বাস্থ্য অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক পরিকল্পনা ও উন্নয়ন, রোগ নিয়ন্ত্রণ বিভাগের পরিচালক, আইইডিসিআর-এর পরিচালক, প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা, বিমানবন্দরে কর্মরত বিভিন্ন বিভাগের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।
সূত্র : জাগো নিউজ