বিদ্যুত, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু সংসদে জানিয়েছেন, বর্তমানে দেশে উত্তোলনযোগ্য মজুদ গ্যাসের পরিমাণ ১০ দশমিক ৬৩ ট্রিলিয়ন ঘনফুট। বিদ্যমান গ্যাসক্ষেত্র হতে বর্তমানে দৈনিক গড়ে ২ হাজার ৫৭০ মিলিয়ন ঘনফুট হারে গ্যাস উৎপাদন করা হচ্ছে। এই হারে গ্যাস উৎপাদন অব্যাহত থাকলে বিদ্যমান মজুদ দিয়ে আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত জনগণ ও শিল্পকারখানাসহ অন্যান্য গ্রাহকের সরবরাহ করা সম্ভব হবে।
আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এ তথ্য জানান তিনি। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অধিবেশনে এ সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের সদস্য হাবিবুর রহমান।
লিখিত জবাবে প্রতিমন্ত্রী আরো জানান, নতুন গ্যাস ফিল্ড আবিষ্কারের পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। রাঙ্গামাটি জেলার সীতাপাহাড় ভূগঠনে ভূ-তাত্ত্বিক জরিপ চলমান রয়েছে। অনশোরের বিভিন্ন ব্লকে ২ডি সাইসমিক জরিপ করার জন্য ডিপিপি অনুমোদন পর্যায়ে রয়েছে। শ্রীকাইল ইস্ট#১ অনুসন্ধান কূপ খননের প্রস্তুতিমূলক কাজ চলমান রয়েছে। এছাড়া সমুদ্রাঞ্চলে তেল/গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ৪টি (এসএস-০৪, এসএস-০৯, এসএস-১১ ও ডিএস-১২) ব্লকে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক তেল কোম্পানির সঙ্গে উৎপাদন বন্টন চুক্তি (পিএসসি) স্বাক্ষরিত হয়েছে। এসকল ব্লকে সম্পাদিত দ্বি-মাত্রিক এবং ত্রি-মাত্রিক জরিপের ভিত্তিতে অগভীর সমুদ্রের ৩টি ব্লকে ২০১১ সালের মার্চ মাসের মধ্যে চারটি অনুসন্ধান কূপ খনন করা হবে। খুব শিগগরিই এসএস-০৪ এ একটি অনুসন্ধান কূপ খনন শুরু হবে।
বিরোধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের প্রশ্নের লিখিত জবাবে নসরুল হামিদ জানান, ঢাকা মহানগরসহ আশেপাশের জেলাগুলোতে ২ লাখ ৪৪ হাজার ৭৬০ মিটার অবৈধ বিতরণ লাইন রয়েছে। তার মধ্যে ঢাকা মহানগরে ১ হাজার ৪৬০ মিটার, ঢাকা জেলায় ১৮ হাজার ৫০০ মিটার, গাজীপুরে ১ হাজার ৪৫০ মিটার, নারায়ণগঞ্জে ১ লাখ ৭৯ হাজার ৩০০ মিটার এবং মুন্সিগঞ্জে ৩১ হাজার মিটার।
তিনি আরো জানান, বিচ্ছিন্নকৃত অবৈধ বিতরণ পাইপ লাইনের দৈর্ঘ্য ২ হাজার ৫৮৫ কিলোমিটার, বিচ্ছিন্নকৃত গ্যাস বার্নারের সংখ্যা ১২ লাখ ৪৯ হাজার ৯০০টি, এজন্য বিভিন্ন থানায় মোট ১০৪টি মামলা করা হয়েছে। অবৈধ গ্যাস বিতরণ বিচ্ছিন্নে ২০১৬-২০১৭ হতে এ পর্যন্ত মোবাইল কোর্টের মাধ্যমে ১ কোটি ২৫ লাখ ৭৬ হাজার ১০০ টাকা আদায় করা হয়েছে।