বিভাগের নাম ফলিত পদার্থবিজ্ঞান করার দাবিতে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পপুলেশন সায়েন্স অ্যান্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের শিক্ষার্থীদের ডাকা অনশন কর্মসূচির ৫৩ ঘণ্টা ইতিমধ্যেই পার হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগামী সোমবার এ বিষয়ে জরুরি সভার সিদ্ধান্ত হওয়ার পরও অনশন অব্যাহত রেখেছে তারা। শিক্ষার্থীদের দাবি, বিভাগের নাম পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত তারা কর্মসূচি চালিয়ে যাবেন। এদিকে টানা দুই দিনেরও বেশি সময় ধরে অনশনের ফলে অন্তত ৪৮ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। তাদেরকে হাসপাতাল থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
এর আগে গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে সকাল ১০টা থেকে অনশন শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অনশন চলছিল।
শিক্ষার্থীরা জানান, এ পর্যন্ত ৪৮ জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাদের অনেককে রাবির মেডিক্যাল ও কয়েকজনকে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ (রামেক) হাসপাতাল থেকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে একজন রামেক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন। আজ শুক্রবার দুপুরে অনশনস্থলে অন্তত ১০ জন শিক্ষার্থীকে স্যালাইন দেওয়া অবস্থায় দেখা গেছে।
মাস্টার্সের শিক্ষার্থী এস এম সোহাগ হোসাইন জানান, তাদের পপুলেশন সায়েন্স সম্পর্কিত ৩৪ ক্রেডিট এবং হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট সম্পর্কিত ১৬ ক্রেডিট পড়ানো হয়। এরই সঙ্গে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত পরিসংখ্যান সিলেবাসের ১০১ ক্রেডিট পড়ানো হয়। যা পিএসসি’র পরিসংখ্যান কিংবা ফলিত পরিসংখ্যানের সঙ্গে ৯৫ শতাংশ সামঞ্জস্যপূর্ণ। তাই বিভাগের নাম পরিবর্তন চান তারা।
এদিকে আজ শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে শিক্ষার্থীদের দেখতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক চৌধুরী মো. জাকারিয়া। তিনি শিক্ষার্থীদের অনশন ভাঙার জন্য অনুরোধ করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এ বিষয়ে আগামী সোমবার বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছেন। তোমাদের উচিত উপাচার্যের প্রতি সম্মান জানিয়ে রুমে ফিরে যাওয়া। কেননা যিনি সমস্যা সমাধান করার সর্বোচ্চ ক্ষমতা রাখেন তিনিই তোমাদের সঙ্গে আলোচনা করবেন। কিন্তু দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন ভাঙ্গবেন না বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনে (পিএসসি) বিষয় কোড অন্তর্ভুক্তের দাবি জানিয়ে গত ১৯ জানুয়ারি থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছিলেন ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তবে এখন বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবি জানাচ্ছেন তারা।
কালের কণ্ঠ