ভিনিসিউস জুনিয়রের পর মারিয়ানো দিয়াসোর গোলে এল ক্লাসিকো ম্যাচে বার্সেলোনাকে হারিয়ে লা লিগার শীর্ষে ফিরল রিয়াল মাদ্রিদ।
রবিবার রাতে সান্তিয়াগো বের্নাবেউয়ে ২-০ গোলে জিতেছে জিনেদিন জিদানের দল। সাত ম্যাচ পর চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী বার্সেলোনার বিপক্ষে জিতল রিয়াল।
লিগে টানা চার জয়ের পর হারল শিরোপাধারী বার্সেলোনা। দুই ম্যাচ পর জয়ের দেখা পেল স্পেনের সফলতম দলটি।
আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে শুরু থেকেই জমে উঠা ম্যাচের সপ্তম মিনিটে ম্যাচে প্রথম সুযোগটা পায় রিয়াল। ডি বক্স থেকে শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি করিম বেনজেমা।
২১তম মিনিটে রিয়ালের প্রতি আক্রমণ থেকে বার্সেলোনার ত্রাতা জেরার্দ পিকে। পাল্টা আক্রমণে জর্দি আলবার নিচু ক্রস বিপজ্জনক জায়গায় পেয়েও শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি অঁতোয়ান গ্রিজমান।
৩০তম মিনিটে সুযোগ আসে লিওনেল মেসির সামনে। গ্রিজমানের কাছ থেকে বল পেয়ে বার্সেলোনা অধিনায়ক শট নেন গোলরক্ষক বরাবর। আর ৩৩তম মিনিটে দুইবার ডি বক্স থেকে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি করিম বেনজেমা।
বিরতির পর শুরুটা ভালো করে বার্সেলোনা। বেশিরভাগ সময় পায়ে বল রেখে আক্রমণে যায় তবে ভাঙতে পারেনি রিয়ালের জমাট রক্ষণ। শুরুতে নিজেদের গুটিয়ে রাখা রিয়াল ধীরে ধীরে আক্রমণে যায়।
৫৫তম মিনিটে ইসকোর বাঁকানো শট ঝাঁপিয়ে পড়ে কোনোমতে কর্নারের বিনিময়ে রক্ষা করেন মার্ক-আন্ড্রে টের স্টেগেন। ম্যাচে এটাই ছিল বার্সেলোনা গোলরক্ষকের প্রথম বড় পরীক্ষা।
অবশেষে ৭১তম মিনিটে এগিয়ে যায় রিয়াল। ক্রুসের কাছ থেকে বল পান ভিনিসিউস জুনিয়র। অরক্ষিত এই ফরোয়ার্ডের শট স্লাইড করা পিকের পায়ে লেগে দিক পাল্টে জালে জড়ায়। কিছুই করার ছিল না বার্সেলোনা গোলরক্ষকের।
৭৫তম মিনিটে প্রতি আক্রমণ থেকে সমতা আনার সুযোগ আসে মেসির সামনে। মার্সেলো ও ভারানের যৌথ চেষ্টায় বেঁচে যায় রিয়াল। ৮৩তম মিনিটে মেসির ফ্রি-কিকে হেড লক্ষ্যে রাখতে পারেননি পিকে।
শেষ দিকে দ্বিতীয়ার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মারিয়ানো দিয়াসো। এতে এল ক্লাসিকো ম্যাচে বার্সেলোনাকে হারিয়ে লা লিগার শীর্ষে ফিরে রিয়াল মাদ্রিদ।