সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জুতার তলায় করোনাভাইরাস পাঁচদিনের বেশি বেঁচে থাকতে সক্ষম। বাড়ির বাইরে, বিশেষ করে সুপারমার্কেট, বিমানবন্দর ও গণপরিবহণে যাতায়াত করার পর জুতা বাড়ির ভেতরে নিলেই ঝুঁকি বাড়ে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জুতার তলায় সবচেয়ে বেশি জীবাণু লাগে। ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাক থেকে শুরু করে ভাইরাসও বাদ যায় না। করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির ড্রপলেট কিংবা হাঁচি-কাশির মাধ্যমে রাস্তায় করোনাভাইরাস পড়ে থাকলে জুতার মাধ্যমে তা আপনার ঘরে হাজির হতে পারে।

জুতার তলা সচরাচর টেকসই হয়। রাবার কিংবা অন্য সিনথেটিক পদার্থ দিয়ে তৈরি হয় তলা। প্লাস্টিকের তৈরি হলেও উচ্চমাত্রার ব্যাকটেরিয়া বহন করে। চামড়ার জুতাগুলোেকেউ ধুয়ে দেয় না বলে জীবাণু তাতে লেগেই থেকে যায়।

অস্ট্রেলিয়ার গবেষকরা বলছেন, জুতার তলায় লেগে থাকা জীবাণু হয়ে উঠতে পারে জীবননাশের কারণ। করোনা সংক্রমণ হয়নি একম পরিবারের লোকজনও মাস্ক কিংবা সুরক্ষা স্যুট পরে বাইরে বের হলেও কেবল জুতার কারণে ঝুঁকিতে পড়ে যায়।

বিভিন্ন দেশের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞরা এই দাবি সমর্থন করেছেন। সে কারণে, বাসার ভেতরে আলাদা স্যান্ডেল ব্যবহার এবং বাইরে ব্যবহৃত জুতা বাসার ভেতরে না নিয়ে যাওয়ার কথা বলছেন।