ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলি বলেছেন, কভিড-১৯ এর বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে মানুষ অনেক বেশি দয়াশীল হয়ে গিয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার আনঅ্যাকাডেমির অনলাইন ক্লাসে কথা বলতে গিয়ে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সঙ্গে ছিলেন তার স্ত্রী আনুশকা শর্মাও। 

কোহলির আশা, যাঁরা সামনে থেকে এই কঠিন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করছে তাঁদের প্রতি সবাই সম্মান দেখাবে। এমনকি সব ঠিক হয়ে গেলেও সেটা বজায় থাকবে। 

তাঁরা বলেন, ‘এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমরা একটা সমাজিক জীব হিসেবে অনেক বেশি দয়াবান হয়ে উঠেছি। আমরা তাদের প্রতি সম্মান দেখাচ্ছি যারা সামনে থেকে এর বিরুদ্ধে লড়াই করছে, সেটা পুলিশ হোক বা ডাক্তার, নার্স।’ 

বিরাট বলেন, ‘আমার আশা এই পরিস্থিতিতে থেকে বেরিয়ে এলেও এটা আমাদের মধ্যে থেকে যাবে।’ তাঁর মতে, এই মহামারী গোটা বিশ্বকে খুব গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা দিয়ে গিয়েছে।

ভারতীয় অধিনায়ক বলেন, ‘জীবন অনিশ্চিত। তাই সেটাই করুন যেটায় আমাকে খুশি রাখবে এবং সব সময় তুলনা করবেন না। মানুষের কাছে এখন বিকল্প রয়েছে কী ভাবে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসবে। এর পর জীবন অন্য রকম হতে চলেছে।’

এদিকে আনুশকার কাছে এই মহামারি মানুষকে জীবনের প্রতি গুরুত্ব দেওয়া শিখিয়ে দিয়েছে যা জীবনে চলতে গেলে লাগে। তিনি বলেন, ‘এখান থেকে শেখার অনেক কিছু রয়েছে। কোনো কিছু কারণ ছাড়া হয় না। যদি ফ্রন্টলাইন ওয়ার্কাররা না থাকত আমরা সামান্য প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো পেতাম না।’

তিনি আরো বলেন, ‘এটা আমাদের শিখিয়েছে কেই বিশেষ নয় কারও থেকে। স্বাস্থ্য সব কিছু। আমরা এখন অনেকবেশি সমাজের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।’

কোহলি বলেন, ‘আমি যখন রাজ্য দলে সুযোগ পাইনি তখন মনে হত কিছুই কাজ করছে না। আমি সারা রাত কেঁদেছিলাম এবং আমার কোচকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কেন আমি দলে জায়গা পেলাম না।’


সূত্র : এনডিটিভ