নিউজ ডেক্স
থ্রি ইডিয়টস মুভিতে দেখেছি আমির খান থাকে এক ধনাঢ্য লোকের মালির ছেলে, ধনাঢ্য ঐ লোকের ছেলের নাম থাকে র্যাঞ্চু দাস চানচাদ শর্ত হয় আমির খান ইঞ্জিনিয়ারিং পড়বে র্যাঞ্চু দাস নামে এবং পড়াশুনা শেষ করে সব সার্টিফিকেট র্যাঞ্চু দাস কে বুঝিয়ে দিবে।
ছাত্রলীগের অবস্থাও এমন! দিন রাত পরিশ্রম করে মাঠের রাজনীতি ধরে রাখবে আর অর্জনগুলো নেতাদের ঝুলিতে দিয়ে আসবে।
তাছাড়া রাজনীতি এখন রাজনীতিবীদদের হাতে নাই, চলে গেছে ব্যবসায়ী আমলা, হাইব্রিড এবং দরবেশদের দখলে, এরা কখনোই ছাত্রলীগের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবেনা! কারন ছাত্র জীবনে এরা কেউ ছাত্রলীগ করেনি।
মন্ত্রীরা সংবাদ সম্মেলনে আসলে এদের কথা শুনে মানুষ হাসে, কারন রাজনৈতিক উৎকর্ষতা এবং দূরদর্শিতার কারনে এরা কেউ এমপি মন্ত্রী হয় নাই। এসব এমপি মন্ত্রীদের কাছে ছাত্রলীগের ছেলেরা কোন প্রোগ্রামের জন্য সহযোগীতার চাইলে মনে হয় ভিক্ষা দেয় আর বিড়বিড় করে বলে ছাত্রলীগের কাজ পড়াশুনা করা তোমরা টাকা দিয়ে কি করবে, মনে হয় সকল কাজের পার্সেন্টিজ খাওয়া একমাত্র এমপি মন্ত্রীদের নিজস্ব হক। চাকরীর জন্য গেলে বলে রিটেন টিকে আসছো? অথচ সন্মুখ সারির একজন ছাত্রলীগ নেতা ভালো করে জানেন তার জন্য রিটেন
টিকা কত কঠিন।
একবার আমি এক এমপি সাহেবের অফিসে গেলাম বললাম লিডার আপনার তো এত ব্যবসা কোন একটা “র” মেটেরিয়ালস দেন আমি সাপ্লাই দেই, নেতা বললেন এসব তুমি পারবেনা বললাম তাহলে কিছু টাকা দেন ব্যবসা করি বলল আমার সব টাকা ব্যাংক লোনের, আমিই অভাবে আছি, অথচ তার কিছুক্ষন আগেই আমার সামনে উনি কোটি কোটি টাকার প্রফিটের হিসাব করলেন উনার ম্যানেজারের সাথে!
এখন ছাত্রলীগ করা ছেলেটা যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বোচ্চ ডিগ্রি নিয়া রাজনীতির মায়ায় পরিবারের বোঝা হইলো তার দায়িত্ব কে নিবে, ব্যবসা বানিজ্য যে যতটুকু করতেছে ৯০ ভাগই নিজের প্রচেষ্টায় কোন এম পি মন্ত্রীর দয়ায় নয়!
আর রাজনীতির ভবিষৎ তো একটা লেভেলে এসে গলা টিপে হত্যা করা হয়, না হয় ছাত্রলীগের সাবেক দের অবস্থা দেখেন কয়জন এমপি হয়েছে আর কয়জন মন্ত্রী হয়েছে!
নেতারা অবশ্য সিস্টেম জানে ইচ্ছা করেই কোন কর্মীকে সাবলম্ভি করেনা কারন এতে করে দরবারে হাজিরা কমে যায়! ক্যারিয়ার ধ্বংস হয়ে যাওয়ার পর একটা সময় নিরুপায় কর্মী যখন গিয়া বলে বস সংসার চলেনা, বস তখন কিছু টাকা হাতে দিয়া বিদ্রুপের হাসি দিয়া বলবে আর কেউতো দেয়না! আমিইতো তোদেরকে দেখে রাখি, অথচ এই ছেলে চাকরির পিছনে ছুটলে তার দুই মাসের বেতন এর চেয়ে বেশি হতো। নেতারা আমেরিকা ইউরোপ দুবাই সিংগাপুরে টাকা পুন্জিভুত করার পর কিছু উচ্ছিষ্ট হাতে রাখে দানবীর সাজার জন্য।
এইসব নেতারা আবার ভিলেজ পলিটিক্সে উস্তাদ, নির্বাচন আসলে ভেরার পাল কিভাবে ব্যবহার করতে হয় ভালো করেই জানে! দিন শেষে জিতেও যায় সাহেবরা, হেরে যায় রাজনীতি।
আর এই এমপি মন্ত্রীদের জনসম্পৃক্ততা নাই বললেই চলে, যার কারনে এরা ছাত্রলীগের দেখাদেখি ধান কেটে শোঅফ করতে এসেছে, ছাত্রলীগের অর্জনগুলো কে ম্লান করতে।
যাহোক হাজারো ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের ব্যাথা অনুভব করে লেখা, ভুল হলে ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন।
আলআমীন অর্নব
প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ম আহবায়ক, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ।