নিউজ ডেক্স:
দেশের প্রতিটি জেলায় যখন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েই চলছে ঠিক সে সময়ই ঘোষণা আসে আগামী ১০ মে থেকে সীমিত পরিসরে দোকানপাট এবং শপিং সেন্টার খোলা যাবে। সরকারের এই ঘোষণায় সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সাধারণ নাগরিকগন ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
বিভিন্ন শপিংমল এবং শো রুমের মালিকসহ ব্যবসায়ীরা এই ঝুকিপূর্ণ সময়ে দোকান পাট খোলার বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছেন।
ব্যবসায়ী এবং সাধারণ মানুষের এমন প্রতিক্রিয়াতে সরকারের শীর্ষ মহল বিষয়টি নিয়ে নতুন করে চিন্তা ভাবনা শুরু করেছেন। এমন আভাস স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেকের বক্তব্যে উঠে এসেছে।স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশব্যাপী চলমান লকডাউন খোলার ব্যাপারে সরকারকে পরামর্শ দেবে বিশেষজ্ঞ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটি।
একই সাথে ঈদে শপিংমল-দোকানপাট বন্ধ রাখা হবে কি-না, সে ব্যাপারেও কমিটি সরকারকে পরামর্শ দেবে। দেশের উচ্চপর্যায়ের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের মতামত অবশ্যই গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করবে সরকার। মঙ্গলবার (৫ মে) বিকেলে সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে টেকনিক্যাল পরামর্শক কমিটির সভা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
এদিকে প্রতিটি জেলায় ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দের সাথে বৃহস্পতিবার জেলা প্রশাসকরা মিটিং করবেন। এই মিটিং থেকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত আসতে পারে বলে একটি সূত্র নিশ্চিত করেছে।
বিষয়টি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নজরে আছে। করোনাভাইরাসের সংকটে সেলফ আইসোলেশনে রয়েছেন বেশিরভাগ মন্ত্রী, এমপি, আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় ও জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতারা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সীমিত কয়েকজন মন্ত্রীদের নিয়ে একাই লড়ে চলেছেন করোনার বিরুদ্ধে। দেশের নিম্ন আয়ের মানুষ যাতে খেয়ে বাচঁতে পারে সে জন্য দেশজুড়ে খাদ্যসহায়তা প্রদান করছেন। তাই দেশ এবং দেশের মানুষের ক্ষতি হবে এমন কোন সিদ্ধান্ত অন্তত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেবেন না এ বিশ্বাস দেশের মানুষের রয়েছে।