ঘরের মাঠ সিগন্যাল ইদুনা পার্কে বায়ার্ন মিউনিখের বিপক্ষে জয় পেলে শিরোপা দৌড় জমিয়ে তুলতে পারতো বরুশিয়া ডর্টমুন্ড। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ এই ম্যাচে জ্বলে উঠতে পারেননি ডর্টমুন্ডের অস্ট্রিয়ান স্ট্রাইকার এরলিং ব্রট হালান্দ। জালের দেখা পাননি বায়ার্নের গোলমেশিন রবার্ট লেভানদভস্কিও।
তবে জশুয়া কিমিচের একমাত্র গোলে ১-০ গোলের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে টানা সাতবারের চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন। আর এই জয়ে টানা অষ্টম শিরোপা জয়ের পথে অনেকখানি পথ এগিয়ে গেল বায়ার্ন। তালিকার দুইয়ে থাকা ডর্টমুন্ডের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান বেড়ে দাঁড়ালো ৭। ২৮ ম্যাচে ২০ জয় ও চার ড্রয়ে ৬৪ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে থাকলো বায়ার্ন। সমান ম্যাচে ৫৭ পয়েন্ট অর্জন করেছে ডর্টমুন্ড।
ম্যাচের জয়সূচক একমাত্র গোল আসে ৪৩ মিনিটের মাথায়। ডি-বক্সের বাইরে থেকে দারুণ এক চিপে বায়ার্নকে এগিয়ে নেন জশুয়া কিমিচ। ডর্টমুন্ডের সুইস গোলরক্ষক রোমান বুর্কি খানিকটা এগিয়ে ছিলেন। কিমিচের চিপে পিছিয়ে গিয়ে হাত লাগান বটে, কিন্তু রুখতে পারেননি।
দ্বিতীয়ার্ধের নবম মিনিটে লেয়ন গোরেটস্কার নিচু শট ঝাঁপিয়ে ঠেকিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি বুর্কি। চার মিনিট পর আর্লিং হালান্দের শট সামনে পড়ে যাওয়া ডিফেন্ডার জেরোমে বোয়াটেংয়ের হাতে লেগে বাইরে চলে যায়। পেনাল্টি পেতে পারতো স্বাগতিকরা; কিন্তু রেফারির যেমন চোখ এড়িয়ে যায়, তেমনি কোনো আবেদনও হয়নি।
৭২তম মিনিটে বাঁ দিক থেকে জেডন স্যানচোর ক্রসে পা লাগাতে গিয়ে বেকায়দায় পা পড়ে ব্যথা পান হালান্দ। সঙ্গে সঙ্গে তাকে তুলে ১৭ বছর বয়সী ইংলিশ ফরোয়ার্ড জিওভানি রেইনাকে নামান ডর্টমুন্ড কোচ। ম্যাচের ৮৩ মিনিটে গোলের সুযোগ পান বায়ার্নের লেভানদোভস্কি। কিন্তু দূরপাল্লার শট গোলমুখে রাখতে পারেননি এই পোলিশ। শেষ পর্যন্ত আর কেউ গোলের দেখা না পাওয়ায় জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বায়ার্ন।
করোনা মোকাবিলার জন্য স্টেডিয়ামে দর্শক প্রবেশের সুযোগ ছিল না এই ম্যাচে। কিন্তু টিভি পর্দায় যারা খেলা দেখেছেন তারা দর্শকের শব্দ শুনেছিলেন। সম্প্রচারকারীরা কৃত্রিম শব্দ জুড়ে দিয়েছেন এতে। তবে এতে ছিল না কোন প্রাণ।